spot_img
28.8 C
Kolkata
Monday, June 16, 2025
spot_img

ছোটবেলা থেকেই পারিবারিকভাবে গাঁজার ব্যবসা : গ্রেফতারের পর মুখ খুললেন বাংলার বিজেপি নেতা !

 

বিজেপি নেতা তাঁর নিজের দলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন এবং বলেন যে এই বিষয়তে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা নেই।

শ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার এক ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা রবিবার এই দাবি করে বড়ো আলোড়নর সৃষ্টি করেছে যে তার পরিবার ছোটবেলা থেকেই গাঁজার ব্যবসা করে আসছে এবং তার দলই এই গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্রের নেপথে বলে অভিযোগ করেছেন ।
ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা গাঁজার ব্যবসা করতেন। আমার দুই ভাই এবং আমি পরবর্তীতে আমাদের সংসার চালানোর জন্য ব্যবসার ভার নিয়েছিলাম। এভাবেই আমি আমার মেয়ের শিক্ষার খরচ দিয়েছি,” হাওড়া জেলার সাঁকরাইলে বিজেপির কৃষক মোর্চা (কিষাণ মোর্চা) সহ-সভাপতি নিমাই রায় রবিবার তাকে আদালতে তোলার সময় মিডিয়াকে বলেন ।
২০১৮ সালের গপঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার স্ত্রী বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে আমি ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিলাম কিন্তু কিছু ঋণ মেটাতে আবার শুরু করেছি। বিজেপি আমাকে গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র করেছে। এতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো ভূমিকা নেই,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস (এনডিপিএস) আইনের অধীনে অভিযুক্ত, রায়কে পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে পাঠানো হয়ছে ইতিমধেই । জদেও তার স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য রূপা রায় মিডিয়াকে এড়িয়ে যান।

এক জেলা পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে শনিবার রায়ের বাড়ি থেকে গোয়েন্দা বিভাগ ৪১ কেজি গাঁজা জব্দ করার পরে রায় এবং দুই অভিযুক্ত সহযোগী, সত্যধর সাহানি এবং আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রায়কে দেখা যায় এমন ছবিগুলি প্রকাশ করে TMC সোশ্যাল মিডিয়ায় গেরুয়া শিবিরকে লক্ষ্য করে।

“আমরা পুলিশকে এই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করার আহ্বান জানাই। একজন মাদক ব্যবসায়ী বিজেপি দলে তে কি ভাবে জায়গা পায়ে ? বলে প্রশ্ন তোলেন টিএমসির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
জদেও বিজেপি অভিযুক্ত রায়কে রক্ষা করার কোনো চেষ্টা করেনি।

অন্যদিকে বঙ্গীয় বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র সমিক ভট্টাচার্য বলেন “বিশাল পরিমাণে গাঁজা আটক করা বাংলায় একটি নিয়মিত ব্যাপার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে থাকা টিএমসি শাসনামলে কীভাবে বাণিজ্য বেড়েছে তা পুলিশের তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন সমিক ভট্টাচার্য ।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,400SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles

Enable Notifications Thank You No thanks