কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
টনসিল অপারেশন করাতে গিয়ে রোগীর মৃত্যু বাগুইআটি ভি আই পি অপেক্স মেডিকেল সেন্টার নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
গলা ব্যথা নিয়ে ইএনটি স্পেশালিস্ট ডক্টর রাহুল সরকারকে প্রথমে দেখিয়েছিলেন দমদম ক্যান্টনমেন্ট মাঠকল সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা মীনাক্ষী বৈরাগী সরকার (১৯)। চিকিৎসক গলায় ইনফেকশন হয়েছে বলে অবিলম্বে ওটি করার পরামর্শ দেন সেই ডাক্তার । সেই মোতাবেক ভিআইপি রোডের ধারে অপেক্স নার্সিং হোমে ২৫ শে জানুয়ারি মীনাক্ষী বৈরাগী কে ভর্তি করানো হয়।
সমস্ত রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসক রবিবার দুপুর একটা নাগাদ রোগীর অপারেশন করেন। দুটোর মধ্যে অপারেশন শেষ হয়ে যায়। চিকিৎসক সেই সময় রোগীর পরিবারকে জানায় সুস্থ আছে মীনাক্ষী বৈরাগী (১৯)। অপারেশন সফল হয়েছে বললেও রোগীর পরিবার যখন রোগীকে দেখতে যান তখন রোগী নার্সিংহোমের বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। এরপর রোগীকে আইসিইউতে শিফট করা হয় রাত দশটা নাগদ। তার কিছুক্ষণ বাদেই রোগীর পরিবার জানতে পারেন মৃত্যু হয়েছে রোগী মীনাক্ষী বৈরাগী সরকারের। সেই সময় হাসপাতলে কোন চিকিৎসক ছিল না বলেও দাবি রোগীর পরিবারের। এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনলেন রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ভি আই পি রোডের বাগুইআটি জোড়া মন্দির এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। যদিও বাগুইআটি থানায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ হয়নি।
উল্লেখ্য এই অপেক্স নার্সিং হোমে এ ঘটনা এবং রোগীর মৃতুর নতুন নয় । রোগীর মৃতুর পর নার্সিং হোমএর ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক বার হয়ছে । যদিও অভিযোগ করা হলেও বগুইয়াটি থানার তরফে বা রাজ্য সকরের এ বিষয় কোনো উদ্যোগ সে ভাবে দেখা যায়নি।
দিৎসা গাঙ্গুলি :
প্রসঙ্গত ২০২২ এর ১৩ ই অক্টোবরে ১৪ বছরের দিৎসা গাঙ্গুলি ভর্তি হয় এই ভি আই পি অপেক্স মেডিকেল সেন্টার এ এবং ১৭ ই অক্টোবর অবধি সম্পূর্ণ ভাবে রোগী ঠিক আছে বলে জানান দুই ডাক্তার ডাঃ শুভাশীষ দে এবং ডাঃ পয়েল চৌধুরী দে তারপরেই ১৮ তারিক বিকেল বেলা নগদ রোগীর পরিবার কে জানান এই ডাক্তার জুটি পরিস্থিতি জটিল বলে ,তার পরেই দিৎসা কে স্থানান্তর করা হয় বেসরকারি হাসপাতাল আমরি তে ,কিন্তু অমরির ডাক্তারদের মতে অনেকটা দেরি হয়কগেছে বলে জানান রোগীর বাবা এবং মা কে ।
এর পরেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বগুইয়াটি থানায় দিৎসার বাবা এবং মা ১১ নভেম্বর ২০২২ কেস no ৭৩৮ । কিন্তু দায়ের করা অবিযোগের কোনো হেলদল এখনো হয়নি বলে দাবি তাদের । তাদের প্রশ্ন কি করে এখনো এ ভাবে নার্সিং হোম চলছে এবং ডাক্তারদের গাফিলতিতে প্রাণ দিতে হছে দিৎসা এবং মীনাক্ষী বৈরাগীদের মত মানুষদের। একই ভাবে প্রশ্নের তীর পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্যের মুখমন্ত্রীর দিকে ।
এখন প্রশ্নের উত্তরের দিকে তাকিয়ে দিৎসা এবং মীনাক্ষীর পরিবার ।
বিস্তারিত দেখুন :