কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
বাংলার রাজনীতিতে এবার এক বড়ো বিষয় ,রাজ্যরাজনীতিতে তৃণয়মূল কংগ্রেসের বড়ো ধাক্কা। শেষমেশ বিধায়ক পদ থেকে ইতিফা দিলেন তৃণয়মূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক ,কর্মী ,নেতা তাপস রায়।
সাংবাদিক বৈঠকের পরেই বিধানসভার উদ্দেশে রওনা দেন তাপস রায়। যার জেরে জল্পনা ছড়ায় , আজই হয়ত ইস্তফা দেবেন তিনি। আর এই ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। এর পর বিধানসভায় পৌছান তাপস রায় । অন্যদিকে বিধানসভায় পৌঁছোন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অধ্যক্ষের হাতে পদত্যআগপত্র তুলে দেন তাপস রায় ।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় তাপস রায় বলেন :
আপনি কি আপনার সিদ্ধান্তে অনড় ??
সিদ্ধান্ত অত সহজে পাল্টে ফেলা যায় না আমি যেই সিদ্ধান্তে ছিলাম সেই সিদ্ধান্তে রয়েছি। আসলে চারিদিকে দুর্নীতি এবং সন্দেশখালি আমার চোখ খুলে দিয়েছে।
এইবারের বাজেট অধিবেশন এই প্রথম আমি বাজেট অধিবেশন করিনি। যেকোনো জিনিস মানুষ যখন করে তাঁর মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে। ২৩-২৪ বছর আমি করেছি মানুষের জন্য। যদিও মুখ্য বিষয় দুর্নীতি ও সন্দেশখালি।
১২ ই জানুয়ারি একটি বিশেষ দিন গেছে আমার বাড়িতে , আজ ৫২ দিন হল ইডির আমার বাড়িতে তদন্ত করেছে এর পরেও দল আমার এবং আমার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি।
কুণাল তো এসেছিলেন আমাকে সিদ্ধান্তের পুনঃ বিবেচনার করার জন্য। এক দিকে কুণাল এবং ব্রতর আমার কাছে অনুরোধ নিয়ে আশা আর অন্যদিকে আসার কথা শুনে, সুব্রত বক্সির শো-কজ নোটিশ , কোনটাই প্রতাসিত ছিল না । এই দলে যাদের শো-কজ করা উচিত, যাঁদের বহিষ্কার করা উচিত তাদের করা হয় না।।
কদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় স্পিচ দিতে গিয়ে – আমার বাড়ির ইডি অভিযান এটা উল্লেখ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি শেখ শাহজাহানের কথা উল্লেখ করলেন।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমার ও আমার পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন এটাই প্রতাশিত ছিল ইডি অভিযানের দিন। এবং পরেও , কিন্তু তিনি দাঁড়াননি।
বিস্তারিত দেখুন :