কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ !
সিএএ লাগু প্রসঙ্গে
কে স্বাগত জানাল। কে আপত্তি করল। এগুলো আর ফ্যাক্টর নয়। মোদী বলেছিলেন। করে দিলেন। কিছু টেকনিক্যাল কারণে আটকে ছিল। তার মধ্যে অন্যতম করোনা। অনেকে ভরকানোর চেষ্টা করেছিল। অনেকে হীনমন্যতায় ভুগছিল। নিজভূমে পরবাসী হয়ে ছিল। তাদের প্রতি করা কমিটমেন্ট মোদী পূরণ করেছেন। তাই তাঁকে ধন্যবাদ। এন আর সির প্রশ্ন নেই। কেউ তো বলেনি এন আর সি করব। আমরা পজিটিভ কাজ করতে চাই। মমতা সহ বাকি পার্টির নেতারা নগরিকতবের লোভ দেখিয়ে ভোট টেনেছেন। নিজেরা কিছু করেনি।
নাগরিকত্ব গেলে জোরদার আন্দোলন : মুখ্যমন্ত্রী
উনি ভেবেছিলেন ১০০ দিনের টাকা নেওয়ার মতো লাইন দিয়ে নাম রেজিস্ট্রি করতে হবে। উনি আটকাবেন। কিছুই আর ওনার হাতে রইল না। হাতে রইল শুধু পেন্সিল। কাল তাই ওনার সুর নরম ছিল। হেরে যাওয়া একজন ব্যাক্তির মত। উনি যাদের ক্ষেপিয়ে রাস্তায় নামিয়েছিলেন এবার তাদের কাছে ব্যাখ্যা দিন। কার কি ক্ষতি হল খুলে বলুন। আর তাতেও যদি কিছু করার চেষ্টা করেন মনে রাখবেন ১০০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স এখান রাজ্যে আছে। এখন একবার ভিতরে ঢুকলে ২ থেকে ৩ মাসের আগে আর বেরোতে পারবেন না।
বিজেপির পরবর্তী প্রার্থী তালিকা কবে? আপনার ভাগ্যে কি আছে ?
মমতা ৪২ টা করেছেন। আমরা ১৯৫। বোঝা যাচ্ছে কার কি দম? ওনার যা লিস্ট তাতেই উনি অর্ধেক হেরে বসে আছেন। যারা হলেন তারা কি এম পি হওয়ার যোগ্য? এতদিন হাওয়া ছিল কলাগাছ দাঁড় করলেও জিতে গিয়ে আমিই ২৯৪। সেই দিন চলে গেছে। ব্রিগেডে হাড় পাঁজর বেরিয়ে গেছে। পুলিশ ডান্ডা নিয়ে বাসে তুলেছে। বলেছে ব্রিগেড ঘুরে এসো। কেউ ওঠেনি। নিউ টাউনে এইখানে যে তাঁবু সেখানে কেউ যায়নি। দুপুরে এখানেই মদ মাংস আসর বসেছিল।
সন্দেশখালি নিয়ে রচনার মন্তব্য
ওখানে মহিলা কমিশন গেছিল। তারা গিয়ে জানতে পেরেছেন, ওখানকার মহিলাদের বলা হয়েছে ধর্ষনের ভিডিও দাও। দিদি নিজেই বলছেন কিছু হয়নি। তার চেলা চামুণ্ডা তো সেই কথাই বলবেন।
কেমন হল তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা?
যেমন পার্টি তেমন তালিকা। তাদের স্টকে যা আছে তাইই বের করেছে। কোনো ভদ্রলোক আর আসছে না। পশ্চিমবঙ্গে কোনো সজ্জন লোক পাচ্ছে না। ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো যা পড়েছিল তাইই তুলে এনেছে। যদি ইউসুফ পাঠান কে গুজরাটে প্রার্থী করত তাও বুঝতাম। উনি জানেন ওখানে কি পরিস্থিতি। একসময় বাঙালি ইস্যুতে বিজেপি কে গালাগাল দিত। এখন বলছে এসো গো। প্রার্থী হবে নাকি? পয়সা দিলেও কেউ টিকিট নিচ্ছে না।
অর্জুনের ভবিষ্যত
এরকম অনেক নেতাই ত্রিশঙ্কু হয়ে গেছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি তেও এখন পরিস্কার হচ্ছে। মোদীর নেতৃত্বে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রাজনীতির জামা গায়ে পরে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। উনি কোথায় যাবেন সেটা এখন আর ওনার হাতে নেই।
বিস্তারিত দেখুন :