কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট ইতিমধ্যেই সম্পন্ন। এবার দ্বিতীয় দফায় ভোটের অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু। ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ভোট। তৃতীয় দফায় ১২টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ছত্তিশগড়, কর্নাটক, কেরালা, অসম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। যদিও ভোট কে কেন্দ্র করে প্রথম দফার ভোটে মতই পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সেভাবে অন্য কোন রাজ্যেই ভোটের হাওয়া সেভাবে দেখা যায়নি। প্রথম দেখায় ভোটের হার ছিল তুলনায় কম। সেই হিসাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেও ভোট নিয়ে উৎসাহ–উদ্দীপনা চোখে পড়েনি। এসব লক্ষণ মোদি-বিরোধিতার লক্ষণ বলছেন বিরোধীরা।
শুক্রবার যে ৮৯ আসনে(১টি আসনে নির্বাচন বাতিল হয়েছে) ভোট হতে চলেছে তারমধ্যে ৫৫টি এখন বিজেপির দখলে। কংগ্রেসের হাতে আছে ২০টি আসন। বাকিগুলি ছোট দল এবং নির্দলদের দখলে রয়েছে। বিজেপির দখলে থাকা ৫৫ আসনের মধ্যে বাংলার তিন আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, অ্যানি রাজা, শশী থারুর, নবনীত রানা, ওম বিড়লা, হেমা মালিনী, অরুণ গোভিল এবং প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময় দ্বিতীয় দফায় ৮৯টি আসনে ভোট গ্রহণের ঘোষণা করেছিল কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল লোকসভা আসন থেকে বিএসপি প্রার্থী অশোক ভালভির আচমকা মৃত্য়ুর কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়। তাই দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে।
১২টি রাজ্যের ১২০৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামীকাল ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে।এর মধ্যেই আছেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দু’জন প্রার্থী । নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের জন্য ২৬৩৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। স্কুটিনির পর এই বিপুল পরিমাণ মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪২৮। দ্বিতীয় দফায় কেরল থেকে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সংখ্যাটা হল—৫০০। তার পর রয়েছে কর্নাটক, ৪৯১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।
এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্যু হল, মোদী কি গ্যারান্টি। আর কংগ্রেস সেখানে রেখেছে ন্যায় গ্যারান্টি। স্বাভাবিকভাবেই এখন দেখার বিষয়, কোন গ্যারান্টিতে জনগণ সারা দেয়। তার উপরই নির্ভর করছে দেশের সরকার গঠন। তবে এই আবহে ইন্ডিয়া জোটকে কড়া আক্রমণ করেছে বিজেপির নেতারা। তাঁরা তুলে ধরেছেন, ইন্ডিয়া জোটে আছে দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, সংবিধানকে অপমান এবং হিন্দুত্ব। পাল্টা ইন্ডিয়া জোট কড়া নিশানা করেছে বিজেপিকে। তাঁরা সামনে নিয়ে এসেছে, মোদী সরকারের ইলেক্টরাল বন্ড কেলেঙ্কারি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারি–সহ নানা ইস্যু।