কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকাল ১১.৪০ মিনিটে বারাণসীর জেলাশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হাত থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেন জেলাশাসক এস রাজালিঙ্গম।
এ সময় তার সাথে ছিলেন চার প্রস্তাবকের অন্যতম পন্ডিত জ্ঞানেশ্বর শাস্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সহ এনডিএ শরিক দলগুলির নেতারা। (মোদির অন্য তিন প্রস্তাবক হলেন বৈজনাথ প্যাটেল, লালচাঁদ কুশওয়া, সঞ্জয় সোনকার)।
এর আগে বারাণসী শহরের কাল ভৈরব মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী, সেখানে প্রার্থনা করেন। এরও আগে এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ বারাণসীর গঙ্গা নদীর দশ্বাশ্বমেধ ঘাটে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রার্থনায় যোগ দেন মোদি।
সোমবারই বারাণসী শহরে একটি রোড শোয়ে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ১ জুন সপ্তম ও শেষ দফায় ভোট দেওয়া হবে এই বারাণসী কেন্দ্রে। ভোট গণনা আগামী ৪ জুন।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বারাণসী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের অজয় রাই, এই কেন্দ্রে বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী আথার জামাল লাড়ি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবারের নির্বাচনে লড়ছেন বিশিষ্ট কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা।
মোদির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট’ (এনডিএ) এর অন্যতম শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়া জানান ‘চলমান নির্বাচনে এনডিএ জোট ৪০০ এর অধিক আসনে জয়ী হবে। বিহারেও ভালো ফল করবে, এ রাজ্যের ৪০ আসনে আমরা জয় পাব।’
তামিল মানিলা কংগ্রেসের সভাপতি জি.কে ভাসান জানান ‘ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মোদিজীর নেতৃত্বে এনডিএ’এর জয় খুবই প্রয়োজন।’
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদী। ওই নির্বাচনে ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ) প্রার্থী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৩,৭১,৭৮৪ ভোটে পরাজিত করেছিলেন মোদী।
পরেরবার ২০১৯ সালের নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকেই দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন মোদী। সেবার ৪,৭৯,৫০৫ ভোটে পরাজিত করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী শালিনী যাদবকে। মোদি পেয়েছিলেন ৬,৭৪,৬৬৪ ভোট (৬৩.৬২ শতাংশ ভোট), শালিনী যাদব পেয়েছিলেন ১,৯৫,১৫৯ ভোট (১৮.৪০ শতাংশ), তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই, তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ১,৫২,৫৪৮ (১৪.৩৮ শতাংশ)।
২০১৪ সালের আগে এই আসনটি ছিল সিনিয়র বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশির।
উল্লেখ্য, মোট সাত দফায় দেশটির ৫৪৩ টি লোকসভা আসনে ভোট নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম চার দফার ভোটের মধ্যে ৩৭৯ আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে আরো তিন দফা। দফা। পঞ্চম দফার ভোট আগামী ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন।