কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
৮৭ দিন পর, কলকাতার শিয়ালদাহ আদালত আরজিকর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আদালতে দাবি করেছেন যে, তাকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে এবং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে তাঁকে দোষী সবস্থ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি আদালত ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ৬৪, ৬৬ ও ১০৩ ধারায় সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। এগুলোর মধ্যে ৬৪ ও ৬৬ ধারা মৃত্যুর কারণ বা স্থায়ী অচেতন অবস্থার জন্য শাস্তি এবং ১০৩ ধারা হত্যাকাণ্ডের জন্য শাস্তি প্রদান করে। বিচারক আগামী ১১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিনের শুনানির মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন।
গত ৯ আগস্ট আরজিকর মেডিকেল কলেজের সেমিনার হলে ৩১ বছর বয়সী জুনিয়র চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনা দেশ ও বিষ জুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার করে, এবং রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকরা নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে ‘কর্মবিরতি’ পালন করেন।
এই ঘটনার পর, নিহতের বাবা-মা পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব এবং এক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে দোষারোপ করেন। অন্যদিকে প্রথম চার্জশিটে সিবিআই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে “একক প্রধান অভিযুক্ত” হিসেবে উল্লেখ করে এবং সম্ভবত আরও বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।
সঞ্জয় রায়, যিনি কলকাতা পুলিশের সাথে যুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ার, তাঁকে ঘটনার পরের দিন গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ আগস্ট এই মামলার তদন্তভার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই হাতে নেয়। সিবিআইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠার চার্জশিটে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ, ডিএনএ নমুনা, রক্তের দাগ এবং চুল অন্তর্ভুক্ত।