কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী স্বগর্বে দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ পেরিয়ে এসে অষ্টম দিনে ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলায় অনুষ্ঠিত হলো ” চিরতরুণ দিবস “। পাশাপাশি উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের বক্তব্যের উঠে এলো, প্রবীণ বয়সেও জীবন উপভোগ করার উপায়। বার্ধক্য জীবনের এমন এক পর্যায়ে যেখানে বহু মিশ্রিত বাস্তবিক অভিজ্ঞতা ও সার্থকতার পুঁজি সঞ্চিত থাকে। সেই প্রবীণ কালকেই প্রতিদিন সুন্দরভাবে উৎযাপন করতে বই মেলা প্রাঙ্গনে চললো, এবিষয়ে অভিজ্ঞ প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের দ্বারা প্যানেল ডিসকাশন।
বিশিষ্ট প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন :অলোকানন্দা রায়, (নৃত্যশিল্পী ও সমাজ সংস্কারক )অনিন্দ দাস, (ইনফিনিটি গ্রুপের মার্কেটিং ভাইস প্রেসিডেন্ট ) ,ডাঃ ধীরেশ কুমার চৌধুরী, (ব্যবস্থাপনা ) পরিচালক, (বাঞ্চবো হিলিং টাচ ফাউন্ডেশন ),রাধিকা সিং, (বিশ্বব্যাপী ওয়ার্কফোর্স পরিকল্পনার নেত্রী, ব্রিটিশ কাউন্সিল ),রাজেন্দ্র খান্ডেলওয়াল, (ব্যবস্থাপনা পরিচালক , ধন্বন্তরী মেডিকেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ),সৌম্যজিৎ মহাপাত্র, চেয়ারম্যান, (পিআরএসআই, কলকাতা চ্যাপ্টার ),শর্মিলা মজুমদার, (অঞ্চল প্রধানা পচিমবঙ্গ, এন ই এবং আন্দামান, হেল্প এজ ইন্ডিয়া ),সুগন্ধা রামকুমার, ( অধ্যক্ষা , আইক্যানফ্লাই ইন্টারন্যাশনাল স্কুল )
অন্যদিকে, রাধিকা সিং প্রবীণ জীবনের উৎসাহ এবং নবীন জীবনের আগামী দিনের পথে সুদৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে , তাঁকে প্রভাবিত করে এমন অভিজ্ঞতার ওপর ব্যক্তিগত জীবনীমূলক এবং অন্তরঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক “The Adventures Of Appa” বইটি প্রকাশ করেন।
বইয়ের মুখ্য চরিত্র গণেশ মূর্তি। যিনি সকলের কাছে ভালোবাসায় আপ্পা নামেই পরিচিতি পেয়েছেন । ভারতের স্বাধীনতা লাভের মাত্র এক মাস পরে তিনি কেরালায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত কেরালায় অতিবাহিত করার পর, কর্মসূত্রে সারা ভারতে ভ্রমণ এবং পরবর্তীতে কলকাতায় এসে পাকাপাকিভাবে বসবাস। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ভারতীয় ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, পারিবারিক জীবনযাপনসহ মিশ্রিত ভালো মন্দের নানান বাস্তব অভিজ্ঞতায় নির্মিত জীবনীমূলক কাহিনী।
গল্পের প্রেক্ষাপট পড়লে বোঝা যাবে, লেখিকা হিসেবে রাধিকা সিং শৈশবকাল থেকেই আপ্পার গল্পগুলি শুনে বড়ো হয়েছেন। বলাইবাহুল্য এই বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র তাঁর পিতার জীবনীমূলক কাহিনী দ্বারা নির্মিত। বক্তব্যের মাধ্যমে রাধিকা সিং বললেন, তার বাবার অনুপ্রাণিত ব্যক্তিত্ব এবং জীবনের গল্পগুলি নবীন প্রজন্মের কাছে রাখতে, আশি বছরের জন্মদিনে বাবার কাছে তাঁর জীবন কাহিনীর উপর ভিত্তি করে এই বইটি তার পক্ষ থেকে উপহার রইলো।
অন্যদিকে বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানে স্বয়ং গল্পের মুখ্য চরিত্র উপস্থিত ছিলেন।