কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
নকশালবাড়ি: গবাদি পশু পাচার রুখতে বড় সাফল্য পেল নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। পানিঘাটা মোড়ে ডাক পার্সেলের লরিতে গোপনে মহিষ পাচার করার সময় সেটি আটক করল পুলিশ। লরি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২৭টি মহিষ ও ১৯টি মহিষ শাবক। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে লরি চালক মহম্মদ ফরিদকে, যিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
পুলিশের নজরদারিতে ধরা পড়ল পাচার চক্র
সূত্রের খবর, নকশালবাড়ি থানার পুলিশ বেশ কিছুদিন ধরেই পশু পাচারের বিষয়ে সতর্ক ছিল। সোমবার গভীর রাতে পানিঘাটা মোড়ে পুলিশের নাকা চেকিং চলাকালীন ডাক পার্সেলের লরিটি আটক করা হয়। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় লরির ভেতরে তল্লাশি চালানো হয় এবং তখনই উদ্ধার হয় ৪৬টি মহিষ ও মহিষ শাবক।
ধৃত চালক মহম্মদ ফরিদকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে এবং তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, পশু পাচারকারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে ডাক পার্সেলের লরির ব্যবহার করছে, যাতে সন্দেহ কম হয় এবং সহজে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।
কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছিল এই পাচার? তদন্তে পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে, এই মহিষগুলিকে কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় গবাদি পশু পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। তবে ডাক পার্সেলের লরির মাধ্যমে এমন পাচার এই প্রথম নজরে এলো। পুলিশের মতে, এটি একটি সুসংগঠিত পাচার চক্রের কাজ, যেখানে একাধিক রাজ্যের মানুষ জড়িত থাকতে পারে।
পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা ও প্রশাসনের নজরদারি
নকশালবাড়ি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “গবাদি পশু পাচারের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আমরা বাড়তি সতর্কতা নিয়েছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ রুখতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনার পর, পুলিশের পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ চেকপোস্টগুলিতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। পাচার বন্ধে পুলিশের এই সক্রিয় ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশের তৎপরতায় আপাতত এই পাচার রোখা সম্ভব হলেও বড় চক্রের মূল পান্ডাদের ধরতে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন। প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করলে তবেই পশু পাচারের মতো অপরাধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব হবে।
বিস্তারিত দেখুন :