কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
নয়াদিল্লি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ বাংলাদেশ বনাম ভারতের ম্যাচে শুভমান গিলের দুর্দান্ত শতরানের সৌজন্যে ভারত ৬ উইকেটে জয় লাভ করল। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ শামির ৫ উইকেট নেওয়ার দাপটে বাংলাদেশ ২২৯ রানে অলআউট হয়। তবে বাংলাদেশের হয়ে তৌহিদ হৃদয় দুর্দান্ত লড়াই করে শতরান করেন এবং দলকে রক্ষা করেন।
অন্যদিকে ব্যাট করতে নেমে একেবারে দুঃস্বপ্নের মতো শুরু করে বাংলাদেশ। মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে দেন শামি। পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজও আউট হন। এরপর হর্ষিত রানা বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্তকে আউট করলে চাপে পড়ে যায় দল।
এই অবস্থায় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তৌহিদ হৃদয় ও জাকার আলি। দু’জন মিলে ১৫৪ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটের জন্য সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড। হৃদয় তার ক্যারিয়ারের প্রথম শতরান করেন, যদিও তিনি ইনিংসের মাঝে বেশ কয়েকবার চোটের চিকিৎসা নেন। জাকার আলি ৬৮ রান করেন এবং দলকে ১৮৯ রানে নিয়ে যান। তবে, শেষদিকে শামি ও অন্যান্য বোলারদের দাপটে বাংলাদেশ ২২৯ রানে গুটিয়ে যায়।
পাসাপসী লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতও শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারায়। রোহিত শর্মা (৪১ বলে ৩৬ রান), বিরাট কোহলি (৩৮ বলে ২২ রান), শ্রেয়াস আইয়ার (১৫) এবং অক্ষর প্যাটেল (৮) দ্রুত ফিরে যান। তবে, একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান বিশ্বসেরা ওডিআই ব্যাটসম্যান শুভমান গিল। ১২৫ বলে শতরান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান তিনি। কেএল রাহুলের সঙ্গে মিলে দলকে ২১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি।
জদেও ভারতের বোলিংয়ে মোহাম্মদ শামি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন এবং ৫ উইকেট শিকার করেন। অক্ষর প্যাটেলও দারুণ বোলিং করেন এবং টানা দুই বলে দুটি উইকেট পান। এরপর হৃদয়ের ব্যাট থেকে একটি এজ বের হলেও স্লিপে দাঁড়ানো রোহিত শর্মা ক্যাচ ফেলেন, ফলে অক্ষর হ্যাটট্রিকের সুযোগ হারান।
এই জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই দারুণ সূচনা করল ভারত। অন্যদিকে, বাংলাদেশের জন্য পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানো চ্যালেঞ্জের হবে।