কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
বীরভূম: মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানায় ম্যানেজার পাড়ায় ঘটে গেল এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। শুক্রবার সকালে বাড়ির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেল এক মা ও তার দুই সন্তানকে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী মাড্ডি (২৫) দুই সন্তান রূপালি (১০) ও অভিজিৎ (৮)-কে নিয়ে থাকতেন ওই এলাকায়। তাঁর স্বামী লালটু কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকতেন। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসীরা দেখতে পান, ঘরের খাটিয়ার উপর কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় লক্ষ্মী ও রূপালির দেহ পড়ে রয়েছে, আর খাটের নিচে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। প্রত্যেকের মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল।
সমগ্র ঘটনার পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাঁদের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত খুন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন তাঁরা।ঘটনার খবর পেয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “প্রথমে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে, তারপর তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে।” তবে স্থানীয়রা পুলিশের আশ্বাস মানতে নারাজ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে তিনজনকেই খুন করা হয়েছে। তবে হত্যার পেছনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এটি পারিবারিক শত্রুতার জের, নাকি অন্য কোনও কারণে এই হত্যাকাণ্ড—তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই নিহতের স্বামী লালটুকেও খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় পুলিশ সুত্রে ।
একইসাথে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। প্রতিবেশীরা দাবি তুলেছেন, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশও আশ্বাস দিয়েছে, দ্রুত রহস্য উদঘাটন করা হবে। তবে ঠিক কী কারণে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটল, তা জানতে এলাকার মানুষ এখন পুলিশের তদন্তের দিকে তাকিয়ে।