কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথন ২০২৫-এ তাঁর ভাষণে। তিনি বলেন, একটি সুস্থ ও শক্তিশালী জনগোষ্ঠী দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর এই বক্তব্য এমন সময় এল, যখন বাংলাদেশ রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার বার্তার নিরিখে ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার পর জেনারেল ওয়াকার ক্রীড়া, স্বাস্থ্য এবং যুব সমাজের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশের বৃহত্তম এই ম্যারাথনে ১০টি দেশের ১০,০০০ দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের ক্রীড়া কার্যক্রম সমাজকে আরও সুস্থ ও শক্তিশালী করে তুলবে।
অন্যদিকে সেনাপ্রধান দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার ডাক দেন। তিনি বলেন, “শান্তি দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশের যুবসমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।” তাই সবার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
পাসাপসী ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্ব নিরিখে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “ভারত আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ভারতের ওপর নির্ভরশীল, আবার ভারতও আমাদের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করে। তাই দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, যা প্রতিবেশী দেশের কৌশলগত স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। তিনি বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে চাই এবং আশা করি ভারতও বাংলাদেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দেবে।” দুই দেশ যেন একে অপরের অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থকে সম্মান জানিয়ে এগিয়ে যায়, সেই বার্তাই দেন তিনি।
অপরদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর বার্তা ছিল কার্যত স্পষ্ট সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যকে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বরাবরই দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার গুরুত্ব দিয়ে এসেছে, আর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য সেই নীতিরই প্রতিফলন। তাঁর এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে, যেখানে শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে টানাপোড়েন চরমে।
অন্যদিকে দেখার বিষয় এটা ভারতের এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অবস্থানটা ঠিক কি , ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা যদি বলা হয় তা এই মুহূর্তে কতটা স্পষ্ট তা কিন্তু সাধারণ মানুষ সারা বিশ্বের বুকে এবং একইভাবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিন্তু কার্যত স্পষ্ট নয় বলেই মনে হয়। কারণ শেখ হাসিনার বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হবার পরেই ভারতে চলে আসার পরেও ভারতের তরফে বয়ান ছিল কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় তারা অবশ্যই নাক গলাবে না। আবার অন্যদিকে বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার মাঝে সংখ্যালঘুদের মধ্যেও হিন্দুদের যে নিগ্রহ হওয়ার খবর বারবার গণমাধ্যম এর মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে তা কিন্তু কার্যত অস্বীকার করার কোন উপায় নেই একই সাথে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সফর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে আলাপচারিতায় বার্তা কতটা স্পষ্ট হয়েছে তা নিয়েও কিন্তু যথেষ্ট জল্পনা রয়েই গেছে অপরদিকে সম্প্রতিকালে ভারতবর্ষের পশ্চিমবাংলায় শহর কলকাতায় অজিত দেওয়ালের সফর এবং একই সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোদির সাথে বৈঠকে সাংবাদিকদের তরফে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরের ব্যাখ্যা কিন্তু এক অন্যরকম দাবি রাখে।
এখন দেখার বিষয়, এই বার্তার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কতটা শান্ত হয় এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গতিপথ কোন দিকে মোড় নেয়।সবটাই সময়ের অপেক্ষায় …..