কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বৈঠক চলাকালীন চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সামনেই চলে এই আন্দোলন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়েবকুপার সদস্যদের সঙ্গেও এসএফআই-এর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
২০২০ সাল থেকে কোনও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি, সেই দাবিতেই আন্দোলনে নামে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সমস্ত কলেজে ছাত্র নির্বাচন চালু করতে হবে। এদিকে, ওয়েবকুপার শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সভায় এসে আক্রান্ত হওয়ায় থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, থানার সামনে উপস্থিত হয়েছে এসএফআই-এর ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। যাদবপুর থানার দরজা বন্ধ থাকায় বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের দাবি, দরজা খুলতে হবে। পাশাপাশি, যাদবপুরে তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
থানার সামনে বাম ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে তীব্র বিক্ষোভ দেখানো হয় । থানার গেটের ওপর উঠে প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি, রাস্তা অবরোধ করেও আন্দোলন চালিয়ে যায় ।
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সুকান্ত সেতু থেকে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় মন্ত্রী শ্রী অরূপ বিশ্বাসসহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
একদিকে, সুকান্ত সেতু থেকে তৃণমূলের মিছিল যাদবপুর থানার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, অন্যদিকে, বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে বসে রয়েছেন। যাদবপুর থানার সামনে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।