কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
ভারতজুড়ে নারী ক্ষমতায়নের যাত্রায় ১০ বছর পূর্তি চিহ্নিত করল কুচিনা ফাউন্ডেশন। “উন্নয়নের দশক: নারীর ক্ষমতায়নের ১০ বছর” শীর্ষক এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় অফবিট কলকাতায়, যেখানে নীতি নির্ধারক, সমাজ সংস্কারক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা একত্রিত হন নারীদের নেতৃত্বাধীন পরিবর্তনকে সম্মান জানাতে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ড. অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং, কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার কনসাল জেনারেল হুগ বয়লান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিশু অধিকারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ কমিশনের উপদেষ্টা সুদেষ্ণা রায়, প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক ও শিল্পী আলোকানন্দ রায়, কুটচিনার এমডি নমিত বাজোরিয়া ও নীতা বাজোরিয়া-সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের ক্ষমতায়ন
অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল ২৬ জন ‘কৃত্তিকা ফেলো’কে সম্মাননা প্রদান, যারা ১০টি রাজ্যের তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের নেতৃত্বে সামাজিক পরিবর্তন আনতে কাজ করছেন। এরা লিঙ্গ সমতা, জলবায়ু সহনশীলতা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টার ফলে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের উপজাতীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে কলকাতার লাল-আলো জেলা ও আসামের চা-বাগানে এক লক্ষেরও বেশি প্রান্তিক নারী ও মেয়ের জীবন ইতিবাচকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
নারীদের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কুচিনা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি নমিত বাজোরিয়া বলেন,
“নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার নিছক শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি প্রতিশ্রুতি, যা সমাজে বাস্তব পরিবর্তন আনতে আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আগামী দশকে, আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাই যেখানে প্রতিটি নারী আশা ও পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠবে। গত ১০ বছরে, আমাদের কৃত্তিকা ফেলোরা সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের মধ্যেও দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন এনেছেন। এই মাইলফলক উদযাপনের মাধ্যমে, আমরা নারী চেঞ্জমেকারদের প্রতি আমাদের সমর্থন আরও প্রসারিত করার অঙ্গীকার করছি।”
বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
উৎসবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, যা কুচিনা ফাউন্ডেশনের দশকব্যাপী কার্যক্রম ও ২৬ জন কৃত্তিকা ফেলোর অবদানকে তুলে ধরে। এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনে তাদের নিরলস প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি জানানো হয়।
নারীদের ক্ষমতায়নে এক দশকের পথচলায়, কুচিনা ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও নারীদের উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ চালিয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।