কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
গ্রামের শিশু ও অভিভাবকদের শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা
আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বারাচক অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হলো ‘পাড়ায় পাড়ায় দিদিভাই’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল । তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁদের সমস্যা শোনেন এবং সরকারি প্রকল্পগুলোর সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেন।
সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত গরিব ও আদিবাসীরা
বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল অভিযোগ করেন যে, গরিব ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, “২০২৬ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে প্রতিটি নাগরিকের প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।”
শিক্ষার দায়িত্ব নেবেন বিধায়ক
গ্রামের শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়তে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন অগ্নিমিত্রা পাল । তিনি বলেন, “যে শিশুরা পড়াশোনা করতে চায়, তাদের জন্য আমি বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করব। তাদের খাতা, বই, কলম-সহ সমস্ত পড়াশোনার খরচ আমি নিজেই বহন করব।”
তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র শিশুদের নয়, অভিভাবকদেরও শিক্ষিত করার দায়িত্ব তিনি নিজেই নেবেন। বোইলা, ধবরা, বারাচক ও আশপাশের আদিবাসী পাড়া এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ, ‘ভগবান জগন্নাথের মন্দিরের নকল’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক কার্যকলাপের কড়া সমালোচনা করে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর হিন্দুত্বের কথা মনে পড়েনি, কিন্তু ভোট আসতেই তিনি হঠাৎ এই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ভগবান জগন্নাথের মন্দিরের নকল বানিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে রাজনীতি করছেন।”
ইফতার পার্টি নিয়ে প্রশ্ন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরা শরিফে ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও তীব্র আপত্তি জানান বিধায়ক।
তিনি বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, মুখ্যমন্ত্রী ততই রাজনৈতিক স্টান্ট করছেন। এটা তোষণের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়, এবং জনগণ তা বুঝতে পারছে।”
সব মিলিয়ে, ‘পাড়ায় পাড়ায় দিদিভাই’ কর্মসূচিতে সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল । তাঁর দাবি, আগামী নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রকৃত উন্নয়ন হবে এবং প্রতিটি নাগরিক তাঁর ন্যায্য সুবিধা পাবেন।