কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের রাজনৈতিক ময়দানে ধর্মীয় প্রচারের তীব্রতা বাড়ছে। একদিকে বিজেপির ‘হিন্দু-হিন্দু, ভাই-ভাই’ স্লোগানে ভোটারদের আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা, অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কটাক্ষে পাল্টা প্রচার—সব মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিজেপির পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে হিন্দুত্ববাদী ভাবধারাকে তুলে ধরা হয়েছে। বিজেপির এই প্রচারকে কটাক্ষ করেই এবার পাল্টা পোস্টার লাগিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শহর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ মোড়, রাস্তা ও জনবহুল এলাকায় তৃণমূলের আইটি সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেলের তরফে হোর্ডিং ও ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে।
পাল্টা প্রচারে তৃণমূল
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ধর্মকে ব্যবহার করছে। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “বিজেপি ভোটের সময় ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি করে। বাংলার মানুষ এই চক্রান্ত বুঝে গিয়েছে।” এর পাশাপাশি তৃণমূলের প্রচারে তুলে ধরা হয়েছে উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সাফল্যের দিক।
বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে। দলের এক রাজ্যস্তরের নেতা বলেন, “তৃণমূল আসলে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ধর্মের নামে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলছে। অথচ, রাজ্যের হিন্দুদের অবহেলিত রেখে তারা শুধু তোষণের রাজনীতি করেছে।”
রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধর্মীয় প্রচার নিয়ে শাসক-বিরোধী দলগুলির মধ্যে যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা শুধু পোস্টার ও হোর্ডিংয়েই সীমাবদ্ধ থাকছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার। তৃণমূল ও বিজেপি—দুই দলই নিজেদের রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে ডিজিটাল প্রচারকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরণ বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। একদিকে বিজেপি হিন্দুত্ববাদী প্রচারে জোর দিচ্ছে, অন্যদিকে তৃণমূল তার উন্নয়ন ও সামাজিক প্রকল্পকে সামনে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আগামী দিনগুলোতে এই বিতর্ক আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।