কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
শ্রীনগরের তুলসিবাগ সরকারি আবাসনে আত্মহত্যা করলেন বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক ফকির মোহাম্মদ খান। বিজেপির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনি নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলভার দিয়ে আত্মঘাতী হন।
৬২ বছর বয়সী এই নেতা শ্রীনগরের তুলসিবাগ সরকারি আবাসনের ভেতরেই নিজেকে গুলি করেন। ঘটনার পর দ্রুত তাঁকে এসএমএইচএস হাসপাতাল-এ নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে তিনি কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন
ফকির মোহাম্মদ খান রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং পাশাপাশি বি.এড সম্পন্ন করেন। তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন বলেও জানা যায়।
১৯৯৬ সালে, তিনি প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় নির্বাচিত হন। পরে, ২০২০ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা নাজির আহমেদ খান তাঁকে ১,০৪৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
এর আগে, তিনি পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-তে ছিলেন এবং দলের আঞ্চলিক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, যখন সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়, তখন তিনি পিডিপি থেকে পদত্যাগ করেন।
রাজনৈতিক মহলে শোক
ফকির মোহাম্মদ খানের মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন,
“ফকির মোহাম্মদ খান ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন তৃণমূল স্তরের নেতা। তাঁর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”
জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় তাঁর স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজেপিও এক্স (টুইটার)-এ শোকবার্তা জানিয়ে লিখেছে,
“ফকির মোহাম্মদ খানের অকালপ্রয়াণে জম্মু ও কাশ্মীর বিজেপি গভীর শোক প্রকাশ করছে। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। কঠিন সময়ে ঈশ্বর যেন তাঁদের শক্তি দেন। ওম শান্তি।”
এই ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।