কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রুখতে বড় সাফল্য পেল বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের পিরোজপুর ফাঁড়ির জওয়ানরা। তারা ৩.৩৮৭ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। অভিযানের সময় এক বাংলাদেশি পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যদিও তার সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
অভিযানের বিবরণ
গতকাল, ২১ মার্চ ২০২৫, গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে বিএসএফ জওয়ানরা সতর্কতা বাড়ায়। বিকেল ৪টা নাগাদ, তারা আন্তর্জাতিক সীমান্তে দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। সন্দেহ হতেই জওয়ানরা তাদের থামতে নির্দেশ দেন এবং দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হন।
আতঙ্কিত হয়ে চোরাকারবারীরা নিকটবর্তী ঝোপের মধ্যে জিনিসপত্র ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। বিএসএফের তৎপরতায় একজনকে আটক করা সম্ভব হয়, তবে আরেকজন পালিয়ে যায়। পরে এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে ৫টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়, যার ভেতরে বাদামি রঙের সন্দেহজনক পাউডার ছিল। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি হেরোইন।
গ্রেপ্তারকৃত পাচারকারীর স্বীকারোক্তি
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত বাংলাদেশি পাচারকারী স্বীকার করেছেন, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে আন্তঃসীমান্ত চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় সহযোগীরা তাকে এই মাদক সরবরাহ করেছিল এবং সীমান্ত পার করে আরেকজন বাংলাদেশি পাচারকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বিনিময়ে তিনি অর্থ পাওয়ার কথা ছিল। তবে বিএসএফের তৎপরতায় সে ব্যর্থ হয় এবং গ্রেপ্তার হয়।
বিএসএফের প্রতিক্রিয়া
গ্রেপ্তারকৃত পাচারকারী এবং জব্দকৃত হেরোইন প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা এই সফল অভিযানকে মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সাহসী বিএসএফ জওয়ানদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই এই চোরাচালান ব্যর্থ হয়েছে এবং চোরাকারবারীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে বিএসএফ প্রমাণ করল যে, সীমান্ত চোরাচালান রোধে তারা সদা প্রস্তুত। সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পাশাপাশি, পাচারকারী চক্রগুলিকে নির্মূল করতেও বিএসএফ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।