কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনী প্রোডাক্ট ও আধুনিক প্রযুক্তির জন্য পরিচিত গ্লোবাল মোবাইল ব্র্যান্ড টেকনো, ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখার্জী-কে তাদের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত।
শিবপ্রসাদ মুখার্জী ও টেকনো-র মিশন
পশ্চিমবঙ্গের কৃতি সন্তান শিবপ্রসাদ মুখার্জী তাঁর সিনেমার মাধ্যমে সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও আবেগপ্রবণ গল্প চিত্রায়নের জন্য সুপরিচিত। তাঁর চলচ্চিত্র দেশজুড়ে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে, দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। তিনি সৃজনশীলতা ও আবেগের মিশেল ঘটিয়ে টেকনো-র আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তিকে রাজ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন।
এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য হলো “Stop At Nothing” নীতির মাধ্যমে ব্যক্তি ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল উন্নয়নকে উৎসাহিত করা। ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার ছিল ২৭.৭%, যা ২০২২ সালে বেড়ে ৬৫.৭%-এ পৌঁছেছে। টেকনো এই ডিজিটাল রূপান্তরকে আরও এগিয়ে নিতে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের সৃজনশীলতার দ্বার উন্মোচন করতে চায়।
টেকনো-র প্রতিক্রিয়া
এই অংশীদারিত্ব নিয়ে টেকনো-র সিইও, মিঃ অরিজিত তালাপাত্র বলেন
“শিবপ্রসাদ মুখার্জীকে টেকনো পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। একজন দূরদর্শী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বহুমুখী শিল্পী হিসেবে তাঁর সৃজনশীলতা আমাদের প্রযুক্তি ও ডিজাইনের সীমানা অতিক্রম করার মিশনের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই অংশীদারিত্ব আমাদের সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন যা ব্যক্তি ক্ষমতায়নের জন্য AI-চালিত, রূপান্তরমূলক অভিজ্ঞতা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে।”
শিবপ্রসাদ মুখার্জীর প্রতিক্রিয়া
এই সহযোগিতা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিবপ্রসাদ মুখার্জী বলেন
“টেকনো মোবাইলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে পেরে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। মিঃ অরিজিত তালাপাত্র আমার প্রিয় বন্ধু, এবং তাঁর ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়া আমার কাছে বিশেষ অর্থ বহন করে। টেকনো শুধু উদ্ভাবন ও নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা বদলাচ্ছে না, বরং আমার চলচ্চিত্রের গর্বিত অংশীদারও হয়ে উঠেছে। আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন— মানুষকে অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করা। তাই এই যৌথ সফর নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।”
চলচ্চিত্র ও প্রযুক্তির সংযোগ
টেকনো-র নতুন এই অধ্যায়ে শিবপ্রসাদ মুখার্জীর চলচ্চিত্র দক্ষতাকে ব্র্যান্ডের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই সংযোগ চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিকে একত্রিত করে মানুষকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে এবং এক নতুন সম্ভাবনাময় দিগন্ত উন্মোচন করবে।