কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের পাটঢাড় গ্রামে জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী ভোলানাথ সিং মুড়া। চলাফেরা করতে পারেন না, ফলে সবকিছুতেই অন্যের সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হয়। জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পথ আগেই বন্ধ করে দিয়েছে।
আধার কার্ড না থাকায় বন্ধ সরকারি পরিষেবা
ভোলানাথের সবচেয়ে বড় সংকট আধার কার্ড না থাকা। আঙুলের সমস্যার কারণে তিনি আধার কার্ড পেতে পারেননি, যার ফলে তিনি সরকারি পরিষেবা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। ভোটার তালিকায় তার নাম থাকলেও আধার কার্ড না থাকায় মানবিক ভাতার অনুদানও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আরও বিপাকে পড়েছেন তিনি।
বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও আধার কার্ড পাননি। ভোলানাথের অভিযোগ, ব্যাংক থেকে টাকা তুলতেও সমস্যা হচ্ছে, তবুও প্রশাসন থেকে কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
পরিবারের দুরবস্থা ও সরকারি সাহায্যের অভাব
ভোলানাথের বাবা নকুল সিং মুড়া একজন শ্রমিক। কিছু জমিতে চাষ করে সংসার চালান, তবে বছরের বেশিরভাগ সময় তাকে অন্যের বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। ছেলের আধার কার্ড না থাকায় পরিবার চরম সংকটে।
প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি
সিরকাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বৃহস্পতির সিং মুড়া জানান, পাঁচ বছর আগে রাজ্য সরকারের মানবিক ভাতার আওতায় ভোলানাথ একবার ৭ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রাজ্যের কেউ আর ভাতা থেকে বঞ্চিত হবে না। এখন দেখার বিষয়, ভোলানাথ কবে নাগাদ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পান।
এখন প্রশ্ন সরকারি নিয়মের গেরোয় এক অসহায় প্রতিবন্ধী যুবকের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। এবার কি মিলবে তার ন্যায্য অধিকার?