কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
অভিযোগ: কাটমানি না দিলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বন্ধ
কোচবিহারের শালবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বজ্রাপুর গ্রামে আবাস যোজনার উপভোক্তার কাছ থেকে ৩০,০০০ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মিলন বর্মনের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীর দাবি, টাকা না দিলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
বজ্রাপুর এলাকার গোবিন্দ বর্মন আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের তালিকায় রয়েছেন। প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরই তার বাড়িতে যান তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মিলন বর্মন এবং তাকে বলেন, ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে, তবেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দ্রুত আসবে। টাকা না দিলে পরবর্তী কিস্তি আটকে দেওয়া হবে বলে অভিযোগ ওঠে।
উপভোক্তা গোবিন্দ বর্মন অভিযোগ করেন, তিনি বাধ্য হয়ে ৩০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু এখনো দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসেনি, ফলে ঘরের কাজ থমকে গেছে। তিনি একাধিকবার অঞ্চল সভাপতির কাছে টাকা ফেরত চাইলেও প্রতিবারই নানা অজুহাত দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন গোবিন্দ বর্মন।
অভিযুক্ত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মিলন বর্মন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এটি বিজেপির চক্রান্ত, আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আমি প্রমাণ করব যে এই অভিযোগ মিথ্যা।”
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে। কোচবিহার জেলা বিজেপি যুব মোর্চার কার্যকরী কমিটির সদস্য ধীরাজ বর্মন বলেন, “তৃণমূল কাটমানি ছাড়া চলতে পারে না। নেতাদের জীবনযাত্রা চালাতে এই দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই চিত্র নতুন কিছু নয়, আবারও তার প্রমাণ মিলল।”
এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনোরঞ্জন বারিয়া বলেন, “আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি বিডিও ও মহকুমা শাসকের কাছে জানানো হবে। দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে গ্রামবাসীরা।