শান্তিনিকেতন, বীরভূম:
পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র শান্তিনিকেতন এবার কালো ছায়ায় ঢেকে গেল অন্ধকার অপরাধচক্রে। গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ অভিযান চালায় একটি বেসরকারি হোটেলে। অভিযানে ফাঁস হয় একটি সংঘবদ্ধ দেহ ব্যবসার চক্র। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই যুবতীকে, যাদের অভিযোগ—ভ্রমণের নাম করে তাদের ফাঁদে ফেলে জোর করে এই কাজে নিযুক্ত করা হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেলের মালিক সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের পরিচয়:
-
দেবাশীষ সামন্ত (৪১) – হোটেল মালিক, গুসকরা (পূর্ব বর্ধমান) এলাকার বাসিন্দা।
-
প্রদীপ মণ্ডল ওরফে রনি (২৩) – ফুলডাঙ্গার বাসিন্দা, শান্তিনিকেতন থানা এলাকার অন্তর্গত।
-
কুমার মুখার্জি (৫০) – গাংপুরের বাসিন্দা, শক্তিগড় থানা এলাকার অধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, আরও একজন সন্দেহভাজনের খোঁজ চলছে, যার পরিচয় তদন্তের স্বার্থে আপাতত গোপন রাখা হয়েছে।
আজ, বুধবার সকালে ধৃতদের বোলপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক চারজনকেই সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া দুই যুবতীকে যথাযথ নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান করছে প্রশাসন, এবং গোটা নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে তদন্ত চলছে।
স্থানীয় মানুষজন এবং প্রশাসনের একাংশ শান্তিনিকেতন থানার সাহসী ও দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। পুলিশের এই অভিযানে একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে—এ ধরনের হোটেলগুলিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ঠিক কতটা সুনিশ্চিত?
এ বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে শান্তিনিকেতন থানার এক আধিকারিক জানান, “এই চক্র বহুদিন ধরেই সক্রিয় ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে। আরও তথ্য খুব শিগগিরই সামনে আসবে।”