কলকাতা টাইমস নিউজ : আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন যে, ইরানের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে—আর সেই অভিযানে নেতৃত্ব দেবে ইসরায়েল। তবে, যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন হলে এককভাবেও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, “যদি সামরিক পদক্ষেপ প্রয়োজন হয়, আমরা সেটা নেব।” তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ইরান আলোচনায় সম্মত না হলে এবং নির্ধারিত শর্ত মানতে ব্যর্থ হলে, বল প্রয়োগের বিকল্প খোলা রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল এই পদক্ষেপের মূল নেতা হবে।” যদিও তিনি পরে সতর্কতার সুরে বলেন, “তবে কেউ আমাদের নেতৃত্ব দেয় না, আমরা নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিই।”
ট্রাম্প আরও জানান, আলোচনার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করা হয়েছে—দুই মাস। শনিবার ওমানে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমেই এই আলোচনা প্রক্রিয়ার সূচনা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
ওই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। অপরদিকে, ইরানের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। যদিও ট্রাম্প এই আলোচনা ‘সরাসরি’ হবে বলে দাবি করলেও, ইরান জানিয়েছে, এটি মধ্যস্থতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প বলেন, “আমাদের হাতে সামান্য সময় আছে, তবে খুব বেশি নয়। আমরা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র পেতে দেব না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চাই ইরান উন্নতি করুক, সমৃদ্ধ হোক। কিন্তু একটাই জিনিস তারা পাবে না—পারমাণবিক অস্ত্র। এটা তারা জানে।”
২০২১ সালে ইরানে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, “আমি তো অবাক হয়েছিলাম, কারণ নির্বাচন যখন কারচুপির মাধ্যমে হয়, তখন মনে হয়েছিল তারা পারমাণবিক অস্ত্র ঠিকই পাবে। কারণ আমার সময় ওদের আর্থিক অবস্থা ছিল শোচনীয়।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি ‘জয়েন্ট কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (JCPOA)’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে দু’দেশের সম্পর্ক আরও অবনতি ঘটে।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, ইরানের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য ছাড় না এলে, তিনি বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে যেতে আগ্রহী নন।