কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক : নিজস্ব প্রতিবেদন :
বিহারের চারটি জেলায়—বেগুসরাই, দরভাঙ্গা, মধুবনী ও সমষ্টিপুরে—বজ্রাঘাতে প্রাণ হারালেন অন্তত ১৩ জন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর (CMO) থেকে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতি অনুযায়ী, বেগুসরাই জেলায় ৫ জন, দরভাঙ্গায় ৪ জন, মধুবনীতে ৩ জন এবং সমষ্টিপুরে ১ জন বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে এককালীন আর্থিক অনুদান (ex-gratia) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বজ্রাঘাতে বেগুসরাইয়ে ৫ জন, দরভাঙ্গায় ৪ জন, মধুবনীতে ৩ জন এবং সমষ্টিপুরে ১ জনের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার গভীরভাবে শোকাহত। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর পাশে রয়েছেন এবং তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে অবিলম্বে চার লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রেক্ষিতে নীতীশ কুমার রাজ্যবাসীকে খারাপ আবহাওয়ার সময় ঘরের ভিতরে থাকার এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুসরণ করার আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “খারাপ আবহাওয়ার সময় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সময়ে সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর যে নির্দেশিকা বা সতর্কবার্তা জারি করে, তা অনুসরণ করা উচিত। বজ্রপাতের সময় বাড়ির ভিতরে থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।”
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) ৯ ও ১০ এপ্রিলের জন্য কিশনগঞ্জ, আরারিয়া, সুপৌল, মধুবনী, সীতামারহি, শেওহার, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারন জেলার জন্য ‘কমলা সতর্কতা’ (Orange Alert) জারি করেছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১০ এপ্রিল কিশনগঞ্জ ও সুপৌল জেলার একাধিক স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
IMD এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “কিশনগঞ্জ, আরারিয়া, সুপৌল, মধুবনী, সীতামারহি, শেওহার, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারনের কিছু স্থানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”