কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :নিজস্ব সংবাদদাতা :
চা বাগান বন্ধ থাকলে বা শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) ও অন্যান্য আইনি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হলে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। শনিবার শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউসে এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, “টানা তিন মাস বাগান বন্ধ থাকলে অথবা শ্রমিকদের প্রাপ্য সুবিধা না দিলে মালিকপক্ষের লিজ বাতিল করা হবে।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জিটিএ-র চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহান, রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন সাংসদ শান্তা ছেত্রী ছাড়াও চা বাগানের মালিকপক্ষ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু:
-
বন্ধ চা বাগানগুলির ভবিষ্যৎ
-
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি
-
টি ডিরেক্টরেটের কার্যকারিতা
মন্ত্রী জানান, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি (Expert Committee) গঠন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে, যার ভিত্তিতে রাজ্য সরকার ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করবে।
কঠোর হুঁশিয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে:
মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার হরণ করলে কোনওরকম ছাড় দেওয়া হবে না। চা বাগান খুলে রাখার দায়িত্ব মালিকপক্ষের। যদি কোনও বাগান মালিক এই দায়িত্ব এড়াতে চান, তবে তাঁর বিরুদ্ধে লিজ বাতিল সহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
একইসাথে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা রাজ্য সরকারের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বাগান ও অনিয়মিত বেতন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে সরকারের এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের জন্য আশার আলো।
উল্লেখ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগানে বহুদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ, বেতন বকেয়া, ওয়ার্কার্স কোয়ার্টারে পরিকাঠামোগত দুরবস্থা, এবং পিএফ সংক্রান্ত জটিলতা ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার এবার কঠোর অবস্থানে গেল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।