কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব সংবাদদাতা :নয়াদিল্লি:
পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিতর্কিত মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী সতীশ চন্দ্র দুবে। সম্প্রতি কাশ্যপ তাঁর নতুন ছবি ফুলে-কে ঘিরে চলা প্রতিবাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন, যেখানে ব্রাহ্মণদের নিয়ে তাঁর মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক।
ছবিটি ভারতের সমাজ সংস্কারক জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রীবাই ফুলের জীবনীভিত্তিক এবং তা ২৫ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই কয়েকটি জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
অনুরাগ কাশ্যপ ১৭ এপ্রিল তাঁর এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে লেখেন, “ভারতে জাতি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বললেই ছবি নিষিদ্ধ হয়ে যায়।” এই মন্তব্যের সঙ্গেই তিনি ব্রাহ্মণ সমাজকে উদ্দেশ করে একটি তীব্র কটাক্ষ করেন, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সতীশ দুবে পাল্টা পোস্টে লেখেন,
“এই বিকৃত মস্তিষ্কের লোকটি @anuragkashyap72 ভাবে, সে ব্রাহ্মণ সমাজকে গালিগালাজ করে পার পেয়ে যাবে? যদি সে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চায়, তাহলে আমি নিশ্চিত করব, সে আর কোথাও শান্তিতে থাকতে না পারে। এই ধরনের ঘৃণা আর সহ্য করব না।”
তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে কাশ্যপ পরে একটি ক্ষমাপত্র জারি করেন। তিনি জানান, “আমি আমার মূল পোস্টের বিষয়ে এখনও স্থির, তবে একটি বাক্য যেভাবে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তার জন্য দুঃখিত।”
তিনি আরও বলেন, “আমার এই পোস্টের পর আমার পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীরা ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি পাচ্ছেন। কোনও মতপ্রকাশই এমন হিংসার মূল্য হতে পারে না। এই ক্ষমা ওই একটি লাইনের জন্য, যে ঘৃণার জন্ম দিয়েছে।”
অন্যদিকে একাধিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কাশ্যপ জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম নাটকও ছিল জ্যোতিবা ও সাবিত্রীবাই ফুলের জীবন নিয়ে। তিনি বলেন, “যদি ভারতে জাতপাত না থাকত, তাহলে ফুলে দম্পতিকে লড়াই করতে হতো না। আজও সেই বাস্তবতা রয়েছে। এই ছবি সেই সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।”
ছবিটি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয় ১০ এপ্রিল ট্রেলার মুক্তির পর। কিছু ব্রাহ্মণ গোষ্ঠীর অভিযোগ, ট্রেলারে তাঁদের সমাজকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে জ্যোতিরাও ফুলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রতীক গান্ধী এবং সাবিত্রীবাই ফুলের ভূমিকায় পাত্রলেখা।