কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব সংবাদদাতা :
রাজনৈতিক কোলাহল থেকে দূরে, নিঃশব্দ অথচ হৃদয়স্পর্শী এক অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ শুক্রবার সন্ধ্যায় রিন্কু মজুমদারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন। কলকাতার উপকণ্ঠ নিউটাউনের নিজ বাসভবনে সম্পন্ন হয় এই বিয়ের অনুষ্ঠান, যেখানে শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বন্ধুরাই উপস্থিত ছিলেন।
রিন্কু মজুমদার, বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী এবং একজন বিবাহবিচ্ছিন্না। তাঁর পূর্ববর্তী সংসার থেকে ২৫ বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান, শ্রীঞ্জয় রয়েছে, যিনি বর্তমানে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি মায়ের এই নতুন জীবনের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন।
পরিচ্ছন্নতা ও পরম্পরার মেলবন্ধনে রিন্কুর সাজ
শুক্রবার দুপুরে রিন্কু নিউটাউনের একটি বিউটি পার্লারে যান বিয়ের প্রস্তুতির জন্য। পরে সন্ধ্যায় লাল বেনারসি শাড়িতে সেজে, মাথায় শোলার মুকুট ও গা ছমছমে লাল ঘোমটা ঢাকা দিয়ে, কয়েকজন বধুসঙ্গিনীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটে পৌঁছান। তার ঐতিহ্যবাহী সাজ একেবারে বাঙালি নববধূর চেনা রূপে ধরা পড়ে।
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের সাদামাটা জীবনযাপন ও সামাজিক আড়ম্বরবিমুখতা সুবিদিত। সেই মনোভাব থেকেই এই বিয়েও ছিল একেবারে ঘরোয়া। ধুতি-পাঞ্জাবিতে সজ্জিত দিলীপবাবু কনের বাড়িতে না গিয়ে নিজ বাড়িতেই বিয়ের আয়োজন করেন। কোন বিরাট ভিড় বা রাজনৈতিক জমায়েত ছিল না—সব মিলিয়ে এটি ছিল এক নিঃশব্দ উৎসব, ভালবাসার এক সংযত প্রকাশ। বিয়ের পর দিলীপ ঘোষ বলেন,
“মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন, আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। সকলের আশীর্বাদ চাই। একজন স্বামী, বাবা এবং বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আমি আমার সব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করব। রিন্কু ও আমি বহু বছর ধরে একে অপরকে চিনি, আমরা একই রাজনৈতিক পরিসরে কাজ করি—এই পথচলা একসঙ্গে চলবে।”
বিয়ের ঠিক পরদিন, অর্থাৎ শনিবার দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। সেদিনও তিনি তাঁর নিয়মিত সকালের হাঁটার রুটিন বজায় রাখবেন নিউটাউনে। রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকেও নিজেকে সরিয়ে রাখছেন না। বিয়ের পরদিনই তিনি একটি রাজনৈতিক সভায় অংশ নিতে চলেছেন দমদমে, তারপর খড়গপুর, পূর্ব মেদিনীপুর সফরে যাবেন বলেও জানা গিয়েছে।
যদিও নববধূ রিন্কু ঐতিহ্য মেনে বিয়ের পরদিন বাড়িতেই থাকবেন, দিলীপবাবুর সকালের হাঁটার সঙ্গীরা তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে ক্ষুদ্র পরিসরে কিছু উদযাপন করতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।