কলকাতা টাইমস নিউজ :
লিকছেন দেবজিৎ গাঙ্গুলী :
এক বছর আগের সেই দিনটা ছিল ১৯ এপ্রিল। আলো, ক্যামেরা, গুঞ্জন আর ভিড়ে যখন রূপাঞ্জনা মিত্র সাত পাকে বাঁধা পড়ছিলেন অভিনেতা রাতুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে, তখন সামাজিক মাধ্যমে নানা রকম কথার ঝড়। বয়সের ব্যবধান, সম্পর্কের ভিন্নতা, পরিচিত পেশার ছায়া—সবই নিয়ে শুরু হয়েছিল ট্রোল, ঠাট্টা, পরোক্ষ ব্যঙ্গ।
কিন্তু সময়? সে তো বদলে দেওয়ারই খেলা জানে।
এক বছরের মাথায়, সেই একই দম্পতি এখন ভালোবাসায় ভাসছেন। শুভেচ্ছার ফুলঝুরি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
“বিবাহবার্ষিকীতে বোঝা গেল, ভালোবাসার চেয়ে বড় কোনও উত্তর হয় না,” হেসে বলেন রূপাঞ্জনা। “গত বছর আমাদের বিয়ে নিয়ে নানা কথা শুনেছিলাম। কেউ বলেছিলেন পিআর স্টান্ট, কেউ ব্যঙ্গ করেছিলেন বয়সের ফারাকে। কিন্তু আমি আর রাতুল তখন থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলাম—এই সম্পর্কটাকে আমরা সময় দেব। আজ বুঝি, সময় সবকিছু বদলে দেয়,”
উৎসবের দিনটা কেমন কেটেছিল? চোখে-মুখে প্রশান্তি নিয়ে রূপাঞ্জনার উত্তর—“সকালটা পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। মা স্পেশাল রান্না করে পাঠিয়েছিলেন। কিছু পারিবারিক দায়িত্বও ছিল। আর সন্ধেটা ছিল শুধুই আমাদের জন্য। হোটেল ঘর সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিল। আমি আর রাতুল নিভৃতে কিছুটা সময় কাটিয়েছি, শুধু আমরা দু’জন।”
বিয়ের আগে বহুদিনের প্রেম। কিন্তু সামাজিক স্বীকৃতি পেলে কি বদলে যায় সম্পর্ক?
রূপাঞ্জনার উত্তর স্পষ্ট—“আমরা বিয়ের আগেও বন্ধু ছিলাম, এখনও আছি। তবে এখন একটা সামাজিক স্বীকৃতি এসেছে, যা আমাদের দায়বদ্ধতা বাড়িয়েছে। অনেকেই বলেছিলেন, একসঙ্গে থাকলেই তো হত, আলাদা করে বিয়ের দরকার কী! কিন্তু আমি বলব, বিয়ে একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। দায়িত্ব আছে, খুনসুটি আছে, ঝগড়া আছে, আবার রোজকার একসঙ্গে বাঁচার আলাদা মজা আছে।”
রূপাঞ্জনা ও রাতুলের এই এক বছরের যাত্রা যেন প্রমাণ করে দিয়েছে—সমালোচনা যতোই থাকুক, ভালোবাসা ঠিক পথ খুঁজে নেয়।
এ যেন সময়ের কাছে এক জিত, যে বলে—“ট্রোল কিছু নয়, যদি পাশে থাকে ঠিক মানুষটা।”