কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরের অন্যতম প্রাচীন শিখ উপাসনালয় রস স্ট্রিট গুরুদ্বারায় খালিস্তানপন্থী স্লোগান লিখে দেওয়াল ভাঙচুর ও অপবিত্র করার ঘটনায় স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় গুরুদ্বারার নেতৃত্ব ও শিখ সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ঘটনার পরপরই ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বিভাগ (VPD) গুরুদ্বারায় পৌঁছায় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। গুরুদ্বারার দেয়ালে স্প্রে-পেইন্ট দিয়ে খালিস্তানপন্থী স্লোগান লেখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ মুখপাত্র সার্জেন্ট স্টিভ অ্যাডিসন এক বিবৃতিতে জানান,“ঘটনার তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে আমরা কোনও সন্দেহভাজনের সন্ধান পাইনি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অপরদিকে রস স্ট্রিট গুরুদ্বারার পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে করা হয়নি, বরং এটি একটি বৃহৎ সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা।
স্থানীয় শিখ সমাজের প্রবীণ সদস্য মনবীর সিধু বলেন,“এই গুরুদ্বারা আমাদের ধর্মীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এরকম কাজ শুধু ঘৃণা ছড়ায় না, বরং ভ্যাঙ্কুভারের বহুসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও আঘাত করে।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কানাডা ও ভারতের মধ্যে খালিস্তান আন্দোলন সংক্রান্ত উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ফের উদ্বেগ বাড়াল। ভ্যাঙ্কুভারের শিখ ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মতে, এই ঘটনা শুধুমাত্র দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে না, বরং সরকারের পক্ষ থেকে উপাসনালয়গুলির নিরাপত্তা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।
অন্যদিকে ঘটনার পর, ভ্যাঙ্কুভারের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ গুরুদ্বারার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর জেনিফার লি বলেন,“এই শহরের প্রতিটি ধর্মের মানুষের উপাসনাস্থল নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে হবে।”
ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, শহরের অন্যান্য গুরুদ্বারা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তদন্তে প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।