কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব প্রতিবেদন :
‘তৃতীয় দফার পর আর কোনও তালিকা প্রকাশ নয়’— এই দাবি ঘিরেই আবারও উত্তপ্ত চাকরি ফেরত আন্দোলনের মঞ্চ। তবে এই দাবিকে ঘিরে যে ব্যাখ্যা উঠে আসছিল আন্দোলনকারীদের তরফে, তা একেবারেই অস্বীকার করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানালেন, এসএসসি কিংবা রাজ্য সরকার কারোরই তরফে এধরনের কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় ব্রাত্য বলেন, “থার্ড ফেজ, ফোর্থ ফেজ নিয়ে আমরা কিছুই জানি না। এটা আমরা বলিনি, এসএসসির চেয়ারম্যানও বলেননি। সুপ্রিম কোর্টের কোনও আদেশেও এটা লেখা নেই। যারা এসব কথা বলছে, তারা নিজেদের কল্পনার ওপর ভিত্তি করেই এগোচ্ছে।”
এর আগে সোমবার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) সামনে আন্দোলনরত চাকরি বঞ্চিত শিক্ষকরা দাবি করেছিলেন— এসএসসি ভবনে প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, তৃতীয় দফা কাউন্সেলিং পর্যন্ত যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। কিন্তু এরপর আর নতুন করে কোনও তালিকা আসবে না। এই বার্তাই মুহূর্তে উসকে দেয় বিক্ষোভের আগুন।
কিন্তু সেই দাবিরই দিন না ঘুরতেই ছন্দপতন। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য যেন আন্দোলনের মুখে ঠান্ডা জল ঢালল। তার কথায়, “সুপ্রিম কোর্ট আমাদের কোনও তালিকা প্রকাশ করতে বলেনি। আমরা আইনি পরামর্শ পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
তবে শুধু তালিকা নিয়ে জট নয়, আন্দোলনকারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা আশ্বাসও শোনা গেল শিক্ষামন্ত্রীর কণ্ঠে। জানালেন, “বেতন নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। বুধবারই আমরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করব।” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হলফনামার কথা উল্লেখ করে জানান, ১৭,২০৬ জন প্রার্থীকেই ‘যোগ্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কারা আবার কাজে ফিরবেন— সেই প্রশ্নে ব্রাত্য স্পষ্ট করে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নন-টেন্টেডরাই স্কুলে যাবেন। এটা নিয়ে আর জলের ঘোলা করার কিছু নেই।”
আন্দোলনমঞ্চে স্পষ্ট বিভ্রান্তি, আবার সরকারিভাবে সাফাই— দুই মেরুর এই চাপানউতোরে আরও জটিল হচ্ছে এসএসসি-চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। আন্দোলনকারীরা এখন দেখছেন আগামী বুধবার আদালতের দিকেই, যখন রিভিউ পিটিশনের শুনানি হতে পারে।