কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব প্রতিবেদন :
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর আবারও চরম হুমকির মুখে। এবার সরাসরি মৃত্যুর হুমকি—ই-মেইলের মাধ্যমে। ‘ISIS কাশ্মীর’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো সেই বার্তায় লেখা ছিল: “I kill you”।
এই মেইল এসেছে ঠিক কাশ্মীরের পাহেলগামে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার দিনেই, যেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে কারণ গম্ভীর সেই হামলার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন এবং “ভারত উপযুক্ত জবাব দেবে” বলেও পোস্ট করেছিলেন।
গম্ভীরের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ও সন্ধ্যায় দুটি পৃথক সময়ে ই-মেইলে একই হুমকি পাঠানো হয়। প্রতিবারই শুধু তিনটি শব্দ: “I kill you”।
তথ্য পেয়ে গম্ভীর দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখার দ্বারস্থ হন, তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। দিল্লি পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
এটাই প্রথম নয়। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসেও গম্ভীরকে একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যখন তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন। তখনও সেই হুমকির উৎস হিসেবে ‘ISIS কাশ্মীর’-এর নাম উঠে আসে।
গম্ভীর গত বছরের জুলাইয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের স্থলাভিষিক্ত হয়ে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিকে ভারতের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক—ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ, শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে হার, এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হাতছাড়া—সব মিলিয়ে তাঁর কোচিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অপরাজিত জয়ের মাধ্যমে গম্ভীর ফের আত্মবিশ্বাসের জায়গায় ফিরে আসেন। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত শিরোপা জেতে, যার কৃতিত্ব গম্ভীর ও তাঁর স্টাফদেরও।
গম্ভীর শুধুমাত্র ক্রিকেটার বা কোচ নন, তিনি ছিলেন বিজেপি সাংসদ এবং বহু জাতীয় ইস্যুতে স্পষ্ট মতপ্রকাশের জন্য পরিচিত। পাহেলগাম হামলার ঘটনার পর তিনি লিখেছিলেন:
“প্রার্থনা করছি নিহতদের পরিবারের জন্য। যারা এই বর্বরোচিত হামলা করেছে, তাদের এর মূল্য দিতে হবে। ভারত উপযুক্ত জবাব দেবে।”
এমন বক্তব্যের পরই তাঁকে লক্ষ্য করে এমন হুমকি—তা সাংবাদিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং জাতীয় দলের কোচ যদি এমন নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন, তাহলে বাকিদের কী অবস্থা?