কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :নিজস্ব সংবাদদাতা:
নয়াদিল্লি :
আকাশে ঘন মেঘ, জমে থাকা উত্তেজনা। ঠিক তখনই একের পর এক নিখুঁত আঘাত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।
পহেলগামে ২৬ জন নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরার পর প্রতিশোধের অঙ্গীকার করেছিল ভারত। আজ সেই প্রতিশোধের আঁচ গিয়ে পড়ল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে—মুরিদকে, মুজাফ্ফরাবাদ, কোটলি ও বহাওয়ালপুরে।
পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী নিজেই স্বীকার করেছেন ভারতের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এর কথা। বলেছেন, “ভারত সীমান্ত লঙ্ঘন করে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে।”
লস্কর-ই-তইবার (LeT) সদর দফতর মুরিদকে, জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) ঘাঁটি বহাওয়ালপুর—দুই জায়গায়ই জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে বহুদিন ধরেই অভিযোগ ভারতের। আজ সেই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই মিলেছে প্রতিরোধের জবাব।
মুরিদকে যে হাফিজ সঈদের ঘাঁটি রয়েছে, তা আন্তর্জাতিক মহলেও বহুবার স্বীকৃত। আর বহাওয়ালপুরেই রয়েছে মাসুদ আজহারের সংগঠনের ‘অপারেশনাল হাব’। সেখান থেকেই বহু জঙ্গি অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যার খেসারত দিতে হয়েছে ভারতকে বহুবার। এবার ভারত সরাসরি সেই মূলে আঘাত হানল।
পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পাল্টা বার্তায় বলেছেন, “ভারত যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের সেনা ও জনতা একসঙ্গে তার জবাব দেবে।” দেশজুড়ে জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শত্রুর মন্দ অভিপ্রায় কখনও সফল হতে দেব না।”
কিন্তু ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি। প্রতিক্রিয়ার বদলে থাকছে কৌশলগত নীরবতা — যা এক অর্থে বড় বার্তা।
এই প্রথম নয়। সার্জিকাল স্ট্রাইক থেকে বালাকোট — বারবারই সীমিত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত জবাব দিয়েছে ভারত। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি ইঙ্গিত করছে, এ শুধু জবাব নয়, প্রতিশোধের শপথ।
দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে এমন সামরিক উত্তেজনার মাঝে আন্তর্জাতিক মঞ্চের নজর এখন উপমহাদেশেই।
ভারতের জবাব স্পষ্ট—ঘাঁটিতে ঘাঁটিতে আঘাত। পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি—“প্রত্যুত্তর আসবে।” আর দুই দেশের সীমান্ত বরাবর বাড়ছে সেনা মোতায়েন, আকাশে টহল দিচ্ছে যুদ্ধবিমান।
এখন প্রশ্ন একটাই—এই যুদ্ধ কি সীমান্ত পেরিয়ে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে, নাকি এখানেই থামবে প্রতিশোধের খেল?