কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
নিজস্ব প্রতিবেদন :
পহেলগামের বীভৎস জঙ্গি হানার পর ভারতীয় সেনার পাল্টা জবাব ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখন শুধু সীমান্তের সামরিক সাফল্য নয়, এক নতুন জাতীয় ঐকমত্যের নজির হিসেবেও চিহ্নিত হচ্ছে। অভিযানের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা।
সেনা, নৌ ও বায়ুসেনার সম্মিলিত এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ ও লস্কর-ই-তইবার একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, এই অভিযানে শুধু জঙ্গি পরিকাঠামোই নয়, ধ্বংস করা হয়েছে তাঁদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি, অস্ত্র মজুত ও লঞ্চ প্যাড। বেসামরিক কাঠামো বা পাকিস্তানের সেনাঘাঁটিতে কোনও আঘাত না দিয়ে ‘সুনির্দিষ্ট ও সংযত প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়েছে ভারত।
বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হল—এবারের অভিযানের পর রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে বিরোধী শিবিরও সেনার পাশে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি—প্রায় প্রতিটি বিরোধী নেতাই সেনাকে স্যালুট জানিয়েছেন।
এক বিরোধী সাংসদের কথায়, “সীমান্তে জঙ্গি আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারতের জবাব রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় নয়। এখানে আমরা সবাই এক।”
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা অপারেশন সিন্দুরের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান যদি পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা হলে ভারতের অবস্থান কী হবে, সেই নিয়ে বিরোধীদের মতামতও জানতে চায় কেন্দ্র। একপ্রকার রাজনৈতিক সমন্বয়ের প্রয়াসও বলা চলে এই বৈঠককে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক কেবল তথ্য জানানো নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানোর কৌশল। তা হল—জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভারত ঐক্যবদ্ধ।
“এই মুহূর্তে পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রয়েছে। সেখানে ভারতের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংহতির ছবি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে,” মন্তব্য একজন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকের।