কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :নিজস্ব সংবাদদাতা :
সপ্তাহের মাঝরাতে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক সেনাঘাঁটিতে পাকিস্তানের ড্রোন হানার পরিণতিতে পাল্টা আঘাত হানল ভারত। বৃহস্পতিবার ভোররাতে পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত একটি বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটকে নিশানা করে ড্রোন হানা চালায় ভারতীয় বাহিনী। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পাকিস্তানের চার সেনা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (ISPR) ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, “লাহোরে একটি ভারতীয় ড্রোন ভেঙে পড়ে। তাতেই চার জন সেনা আহত হয়েছেন।” একই সঙ্গে তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন শহর— লাহোর, গুজরানওয়ালা, চকওয়াল, বাহাওয়ালপুর, করাচি, মিয়ানো, ছোর, রাওয়ালপিন্ডি ও অ্যাটক—এও ড্রোন দেখা গিয়েছে এবং সেগুলিকে প্রতিহত করা হয়েছে।
ভারতীয় সামরিক আধিকারিকদের দাবি, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে গত বুধবার গভীর রাতে ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে একাধিক সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন পাঠানো হয়। সেগুলোর বেশির ভাগই সময়মতো গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এসব ঘটনার পরেই পাকিস্তানের লাহোরে পাল্টা ড্রোন হামলা চালিয়ে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে ভারত।
সূত্রের খবর, লাহোরে যন্ত্রপাতি ধ্বংস হওয়ায় পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে।
এই হানা ও পাল্টা হানার মাঝে সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো একটা চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কূটনৈতিক স্তরে এখনও পর্যন্ত কোনও উল্লেখযোগ্য সংলাপ শুরু হয়নি। কিন্তু প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, “ড্রোন যুদ্ধ” আসলে ভবিষ্যতের সামরিক বাস্তবতা, যা এখনই দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে কার্যত দেখা যাচ্ছে।
ভারতীয় বাহিনী জানিয়েছে, তারা এখনও পর্যন্ত সংঘাত এড়াতে চায়, তবে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করা হবে না।