কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
ঘড়ির কাঁটা তখন ভোর ছুঁই ছুঁই। পাকিস্তানের আগ্রাসনের পর দিনই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা চালায় ভয়ঙ্কর এক ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’। নিশানায় ছিল পাকিস্তানের একাধিক বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটি। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল লাহোরে অবস্থিত একটি অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স ইনস্টলেশন। ভারতীয় সেনার জেরে তা কার্যত নিশ্চিহ্ন।
সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আগ্রাসনের মাত্রা ও ক্ষেত্রকে মাথায় রেখে ভারতও ঠিক একই মাত্রায় কড়া জবাব দিয়েছে। সীমান্তে যুদ্ধ নয়, আত্মরক্ষার বার্তাই স্পষ্ট—তবে মেপে-মেপে।
এরই মাঝে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ক্রমাগত বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের মর্টার ও কামান হামলা। জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরির মতো সেক্টরগুলি ভয়ানক গোলাবর্ষণের মুখে পড়েছে। আর তাতেই প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১৬ জন নিরীহ বেসামরিক মানুষের। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও পাঁচজন শিশু।
সীমান্ত পেরিয়ে আঘাত হানা এই হামলার জবাবে ভারতীয় সেনাও পাল্টা কামান দেগে পাকিস্তানের আগ্রাসন রুখতে মরিয়া হয়েছে। নিশানায় নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের মর্টার ও আর্টিলারি ইউনিটগুলোকে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ। কিন্তু আমাদের এই সংযম তখনই বজায় থাকবে, যখন অপর পক্ষ থেকেও পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও উত্তেজনা হ্রাসের ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।”
সীমান্তে এই রক্তপাত ও গোলাগুলির মাঝে, মানবিক বিপর্যয়ও দানা বাঁধছে। উদ্বাস্তু হচ্ছেন বহু গ্রামবাসী। স্কুল বন্ধ, কৃষিকাজ থমকে, আতঙ্কে জীবন—এ যেন রোজকার ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে।
আন্তর্জাতিক মহলের কূটনৈতিক চাপ আর যুদ্ধ না চাওয়ার মনোভাব ভারত বারবার স্পষ্ট করেছে। কিন্তু পাকিস্তান যদি আগ্রাসনের পথেই এগোয়, তাহলে পাল্টা জবাব আসবেই—তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল ভোররাতের এই ‘টার্গেটেড স্ট্রাইকে’।