কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :নিজস্ব প্রতিবেদন:
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর রেশ এখনো কাটেনি। দেশের পশ্চিম সীমান্তে যেন যুদ্ধের আগাম সুর বাজছে। পাঞ্জাব এবং রাজস্থানে জারি হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সীমান্ত সিল, বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ, স্কুল ছুটি—সব মিলিয়ে ভারত যেন ধীরে ধীরে এক জরুরি পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজস্থান ও পাঞ্জাব সীমান্ত জুড়ে টানটান উত্তেজনা। ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান আকাশপথে টহল দিচ্ছে, সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। যোধপুর, কিষানগড় ও বিকানের বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের বিমান পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
রাজস্থান-পাকিস্তান সীমান্তে যেকোনো সন্দেহজনক চলাচলের উপর নজরদারি চলছে। BSF-কে ‘শুট অ্যাট সাইট’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চূড়ান্ত স্তরে নিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে বিকানের, বারমেড়, শ্রীগঙ্গানগর এবং জয়সলমেরে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ ও রেলকর্মীদের ছুটি বাতিল হয়েছে।
পাহেলগাম হামলার জবাবে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এর পরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রকাশ্যে ‘বদলা’র বার্তা দেন। তবে ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—ভারত আগ বাড়িয়ে সংঘাতে যাবে না, কিন্তু প্রতিঘাত অবশ্যম্ভাবী।
১,০৩৭ কিমি দীর্ঘ ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে কয়েক দিন ধরেই গুলি ও শেলের শব্দ। জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর বারবার আক্রান্ত হচ্ছে পাক গোলাবর্ষণে। ইতিমধ্যেই বহু বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে সীমান্তে নজিরবিহীন সেনা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জেরে পাকিস্তানের ভিতরে কাঁপুনি ধরেছে, কিন্তু সীমান্তে বরাবরের মতোই চালিয়ে যাচ্ছে উসকানিমূলক কার্যকলাপ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বায়ুসেনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দিয়েছেন। কোনও রকম হুমকি দেখলেই আক্রমণের অনুমতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রশাসন বলছে, সমস্ত মন্ত্রক ‘হোল অফ গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ’-এর মাধ্যমে প্রস্তুত। প্রতিরক্ষা থেকে যোগাযোগ, স্বরাষ্ট্র থেকে স্বাস্থ্য—সকলেই সর্বোচ্চ অ্যালার্টে।