কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :নিজস্ব সংবাদদাতা:
জয়সলমের সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। প্যারাসুটের সাহায্যে নামার পর পাইলটকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। এই ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি আরও স্ফুলিঙ্গে ভরে ওঠে।
পাকিস্তানের ওই পাইলটের নাম সরকারিভাবে প্রকাশ করা না হলেও, প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের একজন সিনিয়র অফিসার। তার বিমানটি ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে প্রবেশ করতেই তাকে বাধা দেয় ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিমানটি ধ্বংস হওয়ার পর তিনি প্যারাসুটে নামেন। ঠিক সেই সময়েই তৎপরতা দেখায় বিএসএফ-এর কুইক রেসপন্স টিম।
এই ঘটনার কিছু সময় আগেই পাকিস্তান আবার নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে ভারতের একাধিক স্থানে। জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হয় এই হামলা।
তবে, ভারতের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে মাঝ আকাশেই তা ভেঙে দেয়। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি দু’টি পাক ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিরক্ষা সূত্র।
ভারতও পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তানের একাধিক শহরে—লাহোর, ইসলামাবাদ, করাচি ও শিয়ালকোটে টার্গেট করে চালানো হয় মিসাইল স্ট্রাইক। ধ্বংস হয় পাক সেনার একটি এয়ার ডিফেন্স রাডার ও একটি এডভান্সড সতর্কীকরণ বিমান (AWACS)। পাকিস্তানের সামরিক পরিকাঠামোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে রাতভর ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে চণ্ডীগড়, মোহালি, পঞ্চকুলা, জিরাকপুর সহ জম্মু, রাজস্থান ও গুজরাটের বহু এলাকায়। প্রাক্তন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এসপি বৈদ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন—
“জম্মু শহর সম্পূর্ণ অন্ধকারে। বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আতঙ্ক নয়, ভারতীয় সেনার উপর ভরসা রাখুন।”
ভারত-পাক সংঘাতের আবহে এবার সরব হল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমন করতে দুই দেশকে আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে জম্মু, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকায় জারি হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সড়কপথ, রেলপথ ও বিমানবন্দরগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। সেনা সূত্রে খবর, Integrated Counter-UAS সিস্টেম চালু করে রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে গুলি করা ড্রোন ও মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ।
এই সাম্প্রতিক উত্তেজনার সূচনা হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’ দিয়ে, যেখানে ভারতীয় সেনা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় পহেলগাম হামলার প্রতিশোধ হিসেবে। পাকিস্তান সেই অভিযানের পাল্টা দিতে গিয়ে একের পর এক ব্যর্থ হামলার চেষ্টায় নামছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তানি পাইলটের ধরা পড়া শুধু তাৎপর্যপূর্ণ নয়, এটি স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে ভারতের সীমান্ত নজরদারি ও সেনা প্রস্তুতির স্তর। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন উপমহাদেশের দিকে। এই সংঘাত কোন দিকে গড়াবে, তা সময়ই বলবে।