কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :নিজস্ব প্রতিবেদন:
🔹 ভুয়া ভিডিও, সাজানো খবর ও মনগড়া সামরিক তথ্যে উত্তপ্ত হলো ডিজিটাল ময়দান
🔹 জম্মু, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের আকাশে বোমার শব্দের চেয়ে বেশি ছড়াল ভুয়া খবর
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সামরিক উত্তেজনার মাঝেও এক অন্য যুদ্ধ চলছে—তা হল গুজব ও বিভ্রান্তির যুদ্ধ। এই ‘তথ্য যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-এর ফ্যাক্ট চেক ইউনিট। সম্প্রতি পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে ছড়ানো সাতটি ভুয়া খবরের মুখোশ খুলে দিল PIB।
📌 গুজব ১: জালন্ধরে ড্রোন হামলার ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়, পাঞ্জাবের জালন্ধরে পাকিস্তানি ড্রোন হামলা হয়েছে। PIB খতিয়ে দেখে জানিয়েছে, সেটি আসলে একটি খেতের আগুনের ভিডিও। জেলার প্রশাসনও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
📌 গুজব ২: ভারতীয় পোস্ট ধ্বংস করেছে পাক সেনা!
আরেকটি ভিডিওতে দাবি করা হয়, পাকিস্তানি সেনা ভারতের একটি পোস্ট ধ্বংস করেছে। PIB তদন্ত করে জানিয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ সাজানো এবং ভারতীয় সেনার “২০ রাজ ব্যাটালিয়ন” বলে দেখানো ইউনিটটি বাস্তবে নেই।
📌 গুজব ৩: পুরনো ভিডিওকে নতুন বলে চালানো
একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ভিডিও ছড়িয়ে বলা হয়, পাকিস্তান ভারতের উপর মিসাইল হামলা চালিয়েছে। PIB জানায়, এটি আসলে ২০২০ সালের বৈরুত বিস্ফোরণের ভিডিও।
📌 গুজব ৪: রাজৌরিতে ফিদায়িন হামলা!
রাজৌরি সেনা ছাউনিতে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার গুজবও উড়িয়ে দিয়েছে PIB। তারা নিশ্চিত করে জানায়, রাজৌরিতে এমন কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
📌 গুজব ৫: সেনা প্রধানের ভুয়া চিঠি
PIB জানিয়েছে, “জেনারেল ভি.কে. নারায়ণ” নামে এক সেনা প্রধানের চিঠি ইন্টারনেটে ঘুরছে—যা পুরোপুরি ভুয়া। বাস্তবে, ওই নামে কোনও সেনা প্রধান নেই।
📌 গুজব ৬: অম্বালা ঘাঁটি থেকে আমৃতসর আক্রমণ!
অম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে ভারতেরই আমৃতসরে হামলা চালানো হয়েছে—এমন দাবি করেছিল কিছু পাকিস্তানি হ্যান্ডল। PIB জানায়, এ দাবি সর্বাংশে মিথ্যা।
📌 গুজব ৭: বিমানবন্দরে নিষেধাজ্ঞা?
একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ভারতের সমস্ত বিমানবন্দরে সাধারণ প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। PIB জানিয়েছে, এমন কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল সেনা’র ভূমিকায় PIB
দেশবাসীকে বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করতে এবং সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে PIB-এর ফ্যাক্ট চেক ইউনিট দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। সাইবার যুদ্ধের এই যুগে, এমন উদ্যোগ সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে।