কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক : নিজস্ব প্রতিবেদন :
বন্দুকের শব্দ থেমেছে কিছুটা, কিন্তু ভারতের সংকল্প আরও দৃঢ়।
আজ, গুজরাটের ভুজ বিমানঘাঁটিতে যাচ্ছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর আগে তিনি কাশ্মীরের শ্রীনগরের বাডামি বাগ সেনাছাউনিতে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরেছেন — যেখানে গর্জেছে ভারতের প্রতিশোধ, যেখানে শুরু হয়েছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর গাথা।🇮🇳 “গর্বিত ভারত, নির্ভীক বাহিনী”
বাডামি বাগে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “অপারেশন সিন্দুর বিশ্বের কাছে এক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে — পাকিস্তানে বা পিওকে-তে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীরা কোথাও নিরাপদ নয়।”
তার কণ্ঠে ছিল এক আত্মবিশ্বাস, এক দৃঢ়তা। তিনি বলেন, “আমাদের সেনারা নির্ভুল লক্ষ্যভেদ করেছে। এখন শুধু শত্রুদের হিসাবের সময়।”
আর এখানেই থেমে থাকেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “পাকিস্তানের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন রাষ্ট্রের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র কতটা নিরাপদ? আমি বিশ্ববাসীর কাছে দাবি জানাই — পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-র তত্ত্বাবধানে আনা হোক।”
পাহেলগামে নিহত নিরীহ নাগরিকদের ও অপারেশনে শহীদ জওয়ানদের স্মরণ করে রাজনাথ সিং বলেন, “আপনারা শুধু দেশের সীমানা নয়, জাতির আত্মবিশ্বাস রক্ষা করেছেন। আহত সৈনিকদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্তের ওপার থেকে কোনও উসকানি বরদাস্ত করা হবে না। কথাবার্তা চলবে, তবে কেবল এক বিষয়ের ওপর — সন্ত্রাসবাদ ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর।”
এই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির অবস্থানেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল: “সন্ত্রাস আর সংলাপ একসাথে চলতে পারে না।”
এই সফরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা।
ভারত এখন শুধুই প্রতিরক্ষা করছে না, দিক নির্দেশ করছে। ভুজে রাজনাথ সিংয়ের সফর কেবল এক সফর নয় এটি এক প্রতীক, এক বার্তা। ভারতের ভূখণ্ডে যারা হিংসার বিষ বপন করতে চায়, তাদের জন্য এই সফর যেন এক সাবধানীকরণ ঘণ্টা।
“সীমান্তে সাহসিকতা, আন্তর্জাতিক মহলে দায়িত্ব—এটাই আজকের ভারত।”