কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
দেবজিৎ গাঙ্গুলী :
সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর প্রেক্ষিতে ভারতের অবস্থান বিশ্বমঞ্চে জোরালোভাবে তুলে ধরতে এবার বিদেশ সফরে যাচ্ছে সাতটি সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এই কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হতে চলেছে ২৩ মে থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশসহ ভারতের কৌশলগত সহযোগী রাষ্ট্রগুলিতে এই সংসদীয় দলগুলি সফর করবে। সফরের মূল উদ্দেশ্য, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের ‘শূন্য সহনশীলতা’র বার্তা স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া এবং সীমান্তপারের সন্ত্রাসে পাকিস্তানের ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা।
যাঁরা থাকছেন প্রতিনিধি দলে
এই সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলে থাকছেন:
-
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর
-
বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ
-
জেডিইউ নেতা সঞ্জয় কুমার ঝা
-
বিজেপি নেতা বৈজয়ন্ত পাণ্ডা
-
ডিএমকে নেত্রী কণিমোঝি করুণানিধি
-
এনসিপি (শরদ পওয়ার গোষ্ঠী) নেত্রী সুপ্রিয়া সূলে
-
শিবসেনা নেতা শ্রিকান্ত একনাথ শিন্ডে
এই প্রতিনিধি দলগুলির সফর সমন্বয় করছেন সংসদীয় কার্য মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন,
“যখন জাতীয় স্বার্থ সবার ঊর্ধ্বে, তখন ভারত একজোট। সাতটি সর্বদলীয় দল বিশ্বব্যাপী আমাদের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অবস্থান তুলে ধরবে। এটি কেবল কূটনৈতিক বার্তা নয়, জাতীয় ঐক্যের দৃঢ় প্রমাণ।”
যেসব শহরে যাচ্ছে দলগুলি
এই ১০ দিনের সফরে প্রতিনিধিরা যাবেন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
ওয়াশিংটন
-
লন্ডন
-
আবু ধাবি
-
জোহানেসবার্গ
-
টোকিও
সফরের সময় তাঁরা সংশ্লিষ্ট দেশের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন।
উল্লেখ এই প্রথম ভারত সরকার এত বড় আকারে সর্বদলীয় এমপিদের নিয়ে কাশ্মীর ও সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে সরাসরি কূটনৈতিক বার্তা পাঠাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (PoJK) অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে নির্ভুল হামলা চালায়। এই অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। এর আগে ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন।
প্রতিনিধি দলগুলির সফরের লক্ষ্য, শুধু কূটনৈতিক সমর্থন আদায় নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ঐক্য গড়ে তোলা। রাজনৈতিক ভিন্নতা ভুলে, এই বহুদলীয় পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সংহত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।