কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিজফায়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে—এমন সংবাদকে ভুল ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১২ মে দুই দেশের সেনাপ্রধানদের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতির বোঝাপড়া হয়েছিল, তার কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, অর্থাৎ তা অনির্দিষ্টকালীনভাবে কার্যকর থাকবে।
পাশাপসী ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয় ,“আজ কোনও DGMO স্তরের আলোচনা নির্ধারিত নেই। ১২ মে দুই দেশের DGMO-দের মধ্যে যে শান্তিচুক্তি হয়েছে, তার কোনও মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন ধার্য হয়নি।”
এই বিবৃতি আসে এমন এক সময়, যখন কিছু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয় যে ১৮ মে সিজফায়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।
সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে দেয়, ১২ মে-র আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে গুলিবিনিময় ও আগ্রাসী পদক্ষেপ বন্ধ রাখার যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তা এখনও বলবৎ রয়েছে এবং এর কোনও শেষ তারিখ নেই।
উল্লেখ্য, ১২ মে সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘোষাই-এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন পাকিস্তানের ডিজিএমও। পাকিস্তান থেকে শত্রুতা বন্ধ করার প্রস্তাব আসে এবং ভারত তাতে সম্মত হয়।
এক দিন আগেই, ১১ মে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘোষাই জানিয়েছিলেন,
“শনিবারের আলোচনায় পাকিস্তানি ডিজিএমও নিজেই বলেছিলেন—‘চলুন, আমরা শত্রুতা বন্ধ করি।’”
এই শান্তিচেষ্টার প্রেক্ষাপটে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৭ মে-র ‘অপারেশন সিন্দুর’, যেখানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নিশানা করে হামলা চালানো হয়।
এই আক্রমণ ছিল ২২ এপ্রিল পহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রত্যাঘাতমূলক পদক্ষেপ। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সীমান্তপারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থাকবে।
১২ মে-র আলোচনায় সেনা মোতায়েন কমিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা হয়, বিশেষ করে এলওসি ও অন্যান্য বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায়। শান্তি বজায় রাখতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।