কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
দেবজিৎ গাঙ্গুলী :
বিদেশে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি কূটনৈতিক প্রচারে অংশ নিচ্ছে ভারত সরকার। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এবার নাম ঘোষণা করা হয়েছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এই সিদ্ধান্তের ঠিক আগের দিনই, প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বর্তমান সাংসদ ইউসুফ পাঠান ওই প্রতিনিধিদল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন, জানান যে তিনি ‘সহযোগিতা করতে পারবেন না’। তাঁর জায়গাতেই দলের তরফ থেকে অভিষেকের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, এই মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করার পরপরই। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এও স্পষ্ট করেছে যে, সদস্য মনোনয়নের আগে কেন্দ্র তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেনি—এতে অসন্তোষ রয়েছে দলের মধ্যে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রের উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা। কেন্দ্র একতরফাভাবে সদস্য ঠিক করতে পারে না। এই প্রথা নয়। আমরা অবশ্যই পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাশে আছি, সম্পূর্ণ সমর্থন করছি।”
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, “জাতীয় স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু কে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তা ঠিক করার অধিকার শুধু আমাদের দলেরই আছে। এটি সরকারের কাজ নয়।”
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর আওতায় ৭টি প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীতে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সর্বমোট ৫১ জন রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন মন্ত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে, যাঁরা দল-মত নির্বিশেষে এই সফরে অংশ নিচ্ছেন।
তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে একটি প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যার নেতৃত্বে থাকছেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা। ওই দল ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর সফর করবে।
কিন্তু পাঠান জানান, তিনি এই সফরের জন্য ‘উপস্থিত থাকতে পারবেন না’। এর আগেই দলের আরেক বর্ষীয়ান নেতা, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বাস্থ্যগত কারণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।