spot_img
36.6 C
Kolkata
Saturday, June 14, 2025
spot_img

নারায়ণপুরের আবুজমদ জঙ্গলে দীর্ঘ লড়াই: বাসবরাজের মৃত্যু !

কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :নিজস্ব প্রতিনিধি :

প্রায় দুইদিন ধরে অব্যাহত থাকা নারায়ণপুরের আবুজমদ বনাঞ্চলে পুলিশ-মাওবাদী সংঘর্ষে বুধবার সকালে বাংলাদেশে তীব্র সঙ্গানের সমাপ্তি ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, এনকাউন্টারে কমপক্ষে ২৫–৩০ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে সিপিআই (মাওবাদী) দলের শীর্ষ কমান্ডার বাসবরাজ (নামবালা কেশব রাও) । এ ঘটনায় একজন পুলিশ জওয়ান আহত হওয়ার পাশাপাশি এক স্থানীয় গাইডের মৃত্যু হয়েছে অস্ত্রোপচারে বহু গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে AK-47 এবং INSAS রাইফেল সহ স্বয়ংক্রিয় বন্দুক রয়েছে।

 পুলিশ গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে দুই দিনের লড়াই শুরু করার প্রস্তুতি নেয়। নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার জানান, সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের আবাসস্থল সম্পর্কে তথ্য পেয়ে নারায়ণপুর, দন্তেভাড়া, বিজাপুর ও কন্ডগাঁও জেলার ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG) একযোগে ছত্রভঙ্গ অভিযান শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বিশেষ করে কমান্ডার বাসবরাজের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ায় ওই এলাকা ঘিরে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়।

 বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ DRG দল আবুজমদ বনাঞ্চলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা গুলি চালায় এবং দুটি পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলিবিনিময় শুরু হয়।

 প্রথম দিনের মধ্যেই গুলিবিনিময়ে আনুমানিক ২৫ জন মাওবাদী নিহত হয় এলাকায় ব্যাপক তল্লাশির সময় বেশ কয়েকটি AK-47, INSAS রাইফেল সহ বিভিন্ন ধরনের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন দুই দিকেরও পতন ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত থাকে এবং শেষ পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা দখল করতে সক্ষম হয়। পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ে বসবরাজসহ কয়েকজন উচ্চস্তরের মাওবাদী নিহত হন। নিরাপত্তা বাহিনী এখন এলাকা ঘিরে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানানো হচ্ছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, সংঘর্ষের পর আনুমানিক ২৬ জন মাওবাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বিজেপি-বিরোধী সাম্প্রদায়িক হিংসা নির্বাপণ কর্মসূচির প্রতিমন্ত্রী বসবরাজ (নামবালা কেশব রাও) অন্যতম। অন্যান্য নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই এনকাউন্টারে একজন জওয়ান আহত হয়েছে এবং এক স্থানীয় গাইড (অ্যাসোসিয়েট) নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে, যা নিহত মাওবাদীরা ব্যবহার করেছিল।

নামবালা কেশব রাও (উপনাম বাসবরাজ বা বাসবরাজ গাঙ্গন্না) ২০০৫ সালের পর থেকে সিপিআই (মাওবাদী) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলম জেলার অধিবাসী, এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় শিক্ষিত ছিলেন। মাওবাদী আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান শিকার ছিল। নিরাপত্তা সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০০৩ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর ওপর আলিপিরি হামলার পেছনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তার গলার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নাকাবন্দি তালিকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা পুরস্কার ছিল। বাসবরাজ বহু বছর ধরে মাওবাদী বাহিনীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এবং বহু নৃশংস হামলার সঙ্গে তার নাম জড়িত ছিল।

 

 

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,400SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles

Enable Notifications Thank You No thanks