কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক : নিজস্ব প্রতিবেদন
রেল পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণে আর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১০৩টি ‘অমৃত ভারত স্টেশন’-এর। রাজস্থানের বিকানেরে আয়োজিত একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন।
এই ১০৩টি স্টেশনের তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন—উত্তর ২৪ পরগনার কল্যাণী ঘোষপাড়া, পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় এবং পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী জয়চণ্ডী পাহাড়। রেল সূত্রে জানা গেছে, এই স্টেশনগুলিকে নতুন করে গড়ে তোলা হবে যাত্রীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা, আধুনিক অবকাঠামো এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি সজ্জিত করে।
‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পে প্রতিটি স্টেশন পাবে নতুন ছাউনি, প্রশস্ত প্ল্যাটফর্ম, এস্কেলেটর-লিফট, আধুনিক টয়লেট, বিশ্রামাগার, পার্কিং সুবিধা এবং সর্বোপরি ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং CCTV-র মাধ্যমে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রেলমন্ত্রকের দাবি, এই প্রকল্প রেলযাত্রাকে শুধু আরামদায়কই করবে না, সেইসঙ্গে স্থানীয় অর্থনীতিতেও গতি আনবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থান এবং পর্যটনের সম্ভাবনাও বাড়বে এই আধুনিকীকরণে।
বাংলার তিন স্টেশন: প্রত্যাশা ও প্রতিক্রিয়া
-
কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশন (উত্তর ২৪ পরগনা): কলকাতার কাছাকাছি হওয়ায় এই স্টেশনটি নিত্যযাত্রীদের অন্যতম ভরসা। স্টেশন উন্নয়ন হলে কলকাতা মেট্রো রেল সংযোগের দিকেও সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
-
পানাগড় স্টেশন (পশ্চিম বর্ধমান): শিল্পাঞ্চল ঘেঁষা এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক যাতায়াত করেন। পরিকাঠামো উন্নত হলে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ সহজতর হবে।
-
জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশন (পুরুলিয়া): এই স্টেশন পর্যটন দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড়, ঐতিহ্য এবং লোকসংস্কৃতির মেলবন্ধনে এলাকাটি পর্যটনের নতুন মুখ হতে পারে।
১০৩টি স্টেশন নিয়ে রেলের এই আধুনিকীকরণ প্রকল্প দেশের ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে রেলের প্রান্তিক স্টেশনগুলিও সমান গুরুত্ব পাবে উন্নয়নের দিক থেকে। সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের মধ্যে ১২০০টি স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন হিসেবে রূপান্তর করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উন্নত রেলব্যবস্থার মাধ্যমে ‘নতুন ভারতের’ রূপরেখা এবং গ্রামীণ ভারতের সঙ্গে শহরের দূরত্ব ঘোচানোর দিকেই জোর দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনিক মহলে ধারণা।