কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব প্রতিবেদন ● কলকাতা
জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে রাজনীতি শোভনীয় নয়—এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মোদীর মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মমতা বলেন, “রাজনীতির হোলি খেলতে এসেছেন একজন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ভোটের বাজারে সুবিধা তোলার চেষ্টা চললে, তাতে দেশেরই ক্ষতি হবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রের প্রতিরক্ষা উদ্যোগে বাংলার তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “জাতীয় স্বার্থে আমরা কখনও পিছিয়ে থাকি না। সংসদীয় প্রতিনিধি দলে আমাদের প্রতিনিধি রয়েছেন। তবু অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাংলাকে উপেক্ষা করে, এই অপারেশনকে ভোটের প্রচার-পণ্য বানিয়ে মোদী বাংলায় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন।”
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, অপারেশন সিঁদুর ভারতের সুরক্ষার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়। কিন্তু তৃণমূলের বক্তব্য, সেনা বা কূটনৈতিক কৌশল নয়, এই সাফল্যকে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার মাধ্যম বানানো হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনা-অভিযানকে ঘিরে এই বাকযুদ্ধ একদিকে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের ছবি তুলে ধরছে, অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এই বিতর্ক কি ফের ‘জাতীয়তা বনাম আঞ্চলিকতা’ তত্ত্বকে সামনে আনছে? কেন্দ্রীয় সরকার যদি প্রতিরক্ষা কৃতিত্বকে সারা দেশের সম্পদ বলে গণ্য করে, তবে সেই কৃতিত্ব নিয়ে একক দাবিদার হওয়ার প্রবণতা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য?
একটি সামরিক বা কূটনৈতিক অভিযানে সাফল্য আসলে কাদের? শুধু সরকারের? না কি সমগ্র রাষ্ট্রের? অপারেশন সিঁদুর তার এক বাস্তব নজির। তবে রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই সাফল্যকে যদি নির্বাচনী অস্ত্রে পরিণত করা হয়, তবে সেই অস্ত্রের ধারেই কি গণতন্ত্র ক্ষতবিক্ষত হবে না ? হয়তো জবাব সময় দেবে ।