কলকাতা টাইমস নিউজ : নিজস্ব সংবাদদাতা :
কলকাতার আকাশে মেঘের খেলা হয়তো চোখে পড়ছে, কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই! বরং দরদরিয়ে ঘাম, নিঃশ্বাসে অস্বস্তি—এটাই এখন দক্ষিণবঙ্গের দৈনন্দিন। হাওয়া অফিস স্পষ্ট বলছে, “বর্ষা এখনও বহু দূর!”
গরমের এই প্রকোপে শুধুই কলকাতা নয়, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের কপালেও অস্বস্তি-র দাগ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
বিক্ষিপ্ত দু’এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় যারা দিন গুনছিলেন, তাঁদের হতাশ হতে হচ্ছে বারবার। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯১ শতাংশ পর্যন্ত উঠে যায়। সকালে রোদ, বিকেলে ভ্যাপসা—এই চেনা চিত্রনাট্যই যেন ফিরে ফিরে আসছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের গরম হাওয়ার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কার্যত আটকে রয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা আপাতত বালুরঘাট পর্যন্ত এগিয়ে এসেই থমকে গেছে ২৯ মে থেকে।
সাধারণত ১০ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। কিন্তু এবার সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। আশার কথা, যদি আবহাওয়ার অনুকূলতা ফিরে আসে, তবে ১২ জুন নাগাদ বর্ষা ঢুকতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
এখন প্রশ্ন, ততদিন কী হবে? উত্তরটা সহজ—অস্বস্তির গরম চলবেই। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও ২-৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কিছুটা হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। দমকা ঝোড়ো হাওয়া আর সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়। তবে সেটাও সাময়িক স্বস্তি, বর্ষার বিকল্প নয়।
যত দিন না বর্ষা আসে, দক্ষিণবঙ্গের মানুষকে গরম আর আর্দ্রতার সঙ্গে সহ্য করেই থাকতে হবে। অফিসফেরত ভিজে জামা, ছাতা-জল বোতলের লড়াই আর ঘামে ভেজা পথচলা—এই বাস্তবতা থেকে এখনই রেহাই নেই।
আকাশ হয়তো কালো হবে, কয়েক ফোঁটা হয়তো পড়বেই, কিন্তু গরমের হাত থেকে নিস্তার পেতে এখন শুধু অপেক্ষা—একটু বর্ষার, একটু স্বস্তির।