কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব সংবাদদাতা :
কালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন ঘিরে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১৪ কোম্পানি। বুধবার থেকেই শুরু হবে মোতায়েন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এর মধ্যে ১২ কোম্পানি নিয়োজিত থাকবে সরাসরি ভোটগ্রহণের নিরাপত্তায়, বাকি ২ কোম্পানি পাহারা দেবে ইভিএম রাখার স্ট্রং রুম।
একমাত্র ভোটের দিনই নয়, তার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল চলবে।
লক্ষ্য একটাই: ভোটারদের মনে আস্থা জোগানো এবং যে কোনও প্রকার ভয়ভীতি বা হিংসার চেষ্টা রুখে দেওয়া।
নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন—
“সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি বুথের বাইরেও এবার নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।”
কালিগঞ্জে এই প্রথমবার প্রতিটি বুথের বাইরে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
ভোটকেন্দ্রের ভিতরের ওয়েবকাস্টিং তো আছেই, তার পাশাপাশি এবার বাইরের ক্যামেরায় নজর রাখা যাবে—
• ভোটারদের গতি-প্রকৃতি
• বাহিনীর অবস্থান ও চলাফেরা
• বুথের বাইরের পরিবেশ
এই তদারকি হবে রিয়েল-টাইমে, কমিশনের নিয়ন্ত্রণকক্ষে।
যদিও জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর মোট ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। আপাতত ১৪ কোম্পানির অনুমোদন মিলেছে।
ভোটের আগে পরিস্থিতি বুঝে আরও বাহিনী আসতে পারে কি না, তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
ভোটগ্রহণ হবে ১৯ জুন। ভোট শেষ হলে ইভিএম রাখা হবে নির্দিষ্ট স্ট্রং রুমে।
সেই ঘরে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশেষ দল।
তাতে ইভিএম সংরক্ষণ নিয়ে ভোট-পরবর্তী কোনও বিতর্ক এড়ানো যাবে বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে কমিশনের এক কর্তা বলেন—
“শান্তিপূর্ণ ভোট আমাদের অঙ্গীকার। শক্ত হাতে আইন রক্ষা করা হবে। ভোটারদের বলব, ভয় না পেয়ে নির্ভয়ে ভোট দিন।”