কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব প্রতিবেদন :
রাজা উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন ওড়িশার এক কলেজপড়ুয়া তরুণী ও তাঁর বন্ধু। কিন্তু উৎসবের সেই সন্ধ্যা এক বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতায় পরিণত হয় তাঁদের জীবনে। গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে গিয়ে এক ২০ বছর বয়সি কলেজছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ১০ জন দুষ্কৃতী এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী ও তাঁর এক পুরুষ বন্ধু সৈকতে যান। সেই সময়ই একদল অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাঁদের ঘিরে ধরে। অভিযুক্তরা প্রথমে তরুণীর বন্ধুকে বেঁধে ফেলে এবং তারপর পর্যায়ক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগপত্রে (FIR) জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় বেহরামপুরের পুলিশ সুপার বিবেক সারাভানা জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সাতজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। পলাতক অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, দোষীরা কেউই ছাড় পাবে না।”
ধর্ষণের শিকার তরুণী বর্তমানে বেহরামপুরের এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি আটক অভিযুক্তদেরও মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা স্থানীয় নয়। তারা রাজা উৎসব উপলক্ষে সৈকতে এসেছিল। এই তথ্য থেকেই পুলিশের অনুমান, ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত হতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি বছরের মার্চ মাসে ওড়িশা সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর প্রকাশিত হোয়াইট পেপারে জানানো হয়, ২০২৪ সালে রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এই ঘটনাই ফের সেই উদ্বেগকে সামনে আনলো।
নারী নিরাপত্তা ও পর্যটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। একদিকে যখন রাজ্যজুড়ে রাজা উৎসব উপলক্ষে আনন্দে মেতে ওঠে জনতা, তখনই গোপালপুরের এই ঘটনা ভেঙে দেয় সেই আনন্দের আবরণ।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া না মিললেও, নারী কমিশন ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ঘটনার দ্রুত ও কঠোর বিচার দাবি করেছে।




