কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব প্রতিনিধি :
রাজ্য রাজনীতিতে ফের পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের ডাকা কর্মসূচি ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই চেনা চেহারায় ফিরেছে কলেজ স্কোয়ার এলাকা। পতাকা, ব্যানার, ঢাক-ঢোল ও স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা চত্বর। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে, মেট্রোয় কিংবা হেঁটেই শহরে এসে জড়ো হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মিছিল শুরু না হলেও জমায়েতে স্পষ্ট দলীয় কৌশলের ইঙ্গিত।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিনের কর্মসূচি শুধুই প্রতিবাদ নয়, রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংগঠনের শক্তি দেখানোরও মঞ্চ। কলেজ স্কোয়ারে জড়ো হয়েছেন রাজ্য নেতৃত্বের একাংশও। রয়েছেন তৃণমূল যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। কয়েকটি ছাত্র সংগঠনও দেখা গেছে সক্রিয়ভাবে।
এক নেতা বলেন, “বিরোধীরা মনে করছেন তৃণমূল দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমরা আজ দেখাব, মাটি এখনও আমাদের দখলে। বাংলার মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে।”
নানা দাবি, এক সুর
মিছিলের মুখ্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
-
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
-
বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা
-
রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন চাওয়ার বিরুদ্ধে মোর্চা
-
বিজেপির বিরুদ্ধে ‘অসাংবিধানিক চক্রান্ত’-এর প্রতিবাদ
যুব তৃণমূলের এক সদস্য বলেন, “আমরা চাই রাজ্যকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হোক। কেন্দ্র শুধু দোষারোপ করে চলেছে, অথচ নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকতে চাইছে।”
মিছিল ঘিরে শহরের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে লালবাজার। কলেজ স্কোয়ার, বিবেকানন্দ রোড, মহাত্মা গান্ধি রোড, ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশে যান চলাচল সাময়িক ভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। মেট্রো স্টেশনের প্রবেশপথেও রাখা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা।
তৃণমূলের এই জমায়েতকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও বামপন্থীরা। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র বলেন, “মানুষের করের টাকায় লোক এনে দলের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে চাইছে তৃণমূল।” সিপিএম নেতার মন্তব্য, “শাসকের হারে হারে হুঁশ ফিরেছে। এখন জনসংযোগে নামতে বাধ্য হচ্ছে।”
কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা — এই পথে আজ শুধু একটি মিছিল নয়, বরং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক বার্তা ঘিরে তৈরি হচ্ছে নতুন ঢেউ। রাজ্য রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবে এই কর্মসূচি, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।




