কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব সংবাদদাতা :
দলের আমন্ত্রণ না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছেন না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার ঠিক আগে সকালে দিল্লির বিমান ধরলেন দিলীপ। কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, “দল চায় না আমি যাই, গেলে হয়তো অস্বস্তি বাড়বে।”
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে ফের বিজেপির অন্দরে চওড়া হল দূরত্বের জল্পনা। শুধু অভিমান নয়, এ যেন প্রকাশ্য বার্তাও—দলের অভ্যন্তরে কোথাও একটা সম্পর্কের ফাটল এখনও জোড়া লাগেনি।
গত ১৫ জুলাই দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তিনি দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে যাবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাঁর কাছে কোনও আমন্ত্রণপত্র না পৌঁছনোয় রাজনীতির ময়দানে শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন। পরদিন সকালেই তাঁকে দেখা যায় বিমানবন্দরে। সোজা দিল্লির পথে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে দিলীপ বলেন, “কর্মীরা ডাকেছিল, তাই হ্যাঁ বলেছিলাম। কিন্তু পার্টি ডাকেনি। হয়তো পার্টি চায় না আমি যাই। অস্বস্তি হোক, চাই না।”
একই সঙ্গে দিলীপ জানান, তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন ‘পার্টির বিশেষ কাজে’। তবে সাংবাদিকরা বারবার প্রশ্ন করলেও, তিনি স্পষ্ট করে বলেননি ‘কোন পার্টি’র কথা বলছেন। ‘বিজেপি’ শব্দটিও এড়িয়ে যান কৌশলে। এই বিষয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠমহলও পুরোপুরি নিশ্চুপ।
বিজেপির একাংশ মনে করছে, দলীয় সিদ্ধান্তে না থেকেও সাংবাদিকদের সামনে এমন প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি করছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ঘটনায় চটেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষকে শীঘ্রই জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হতে পারে। হতে পারে কড়া বার্তাও।
তৃণমূল থেকে বারবার তাঁকে ‘অবমানিত’ করা হচ্ছে—এই অভিযোগ বহুবার করেছেন দিলীপ ঘোষ। দল ছাড়বেন না বলে আগেও জানিয়েছিলেন, বিশেষ করে সদ্য-নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পর সবাই আশা করেছিলেন বরফ গলবে।
কিন্তু মোদীর সভার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দিলীপের অনুপস্থিতি নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল—বিজেপিতে কি দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক অবস্থান এখন অতীত হয়ে যাচ্ছে?




